হোম অন্যান্যস্বাস্থ্য হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডার রোগী, রেকর্ডের আশঙ্কা

হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডার রোগী, রেকর্ডের আশঙ্কা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 150 ভিউজ

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসের অর্ধেকেই বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে নিউমোনিয়া রোগী ২৩৬ জন। গত চার মাসের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা চিকিৎসকদের।

২৪ দিন ধরে অসহনীয় যন্ত্রণা সহ্য করছে দেড় বছর বয়সী মরিয়ম। সুস্থ হয়ে বাড়ি যেতে এখনো বড্ড দেরি। শিশু হাসপাতালে তাকে থাকতে হবে কমপক্ষে আরও দুই সপ্তাহ। সুঁইয়ের খোঁচায় ছোট্ট শরীর ক্ষতবিক্ষত। ক্যানোলার সাহায্যে দেয়া হচ্ছে ওষুধ।

দেশজুড়ে চলছে শৈত্যপ্রবাহের দাপট। তাই রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর আনাগোনা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাই। ডিসেম্বর মাসে শিশু হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী ৪২৫ জন হলেও, এমাসের অর্ধেক পার না হতেই এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩৬ জনে। এই ধারাবাহিকতা থাকলে তা ছাড়িয়ে যাবে গত চার মাসের রেকর্ডকেও।

গ্রাম থেকে আসা মানুষ পড়েছে আরও বিপাকে। বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে যখন তারা শিশু হাসপাতালে পৌঁছান তখন হয়ে যায় দেরি।

এক নারী বলেন, প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে গিয়েছিলাম। এ পর্যন্ত ৮টা হাসপাতালে গিয়েছি। টাকাও অনেক খরচ হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, বায়ুদূষণ আর ঠান্ডার তীব্রতা দু’য়ে মিলে পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়াসহ বছরের এই সময়টাতে জনবহুল স্থানে শিশুকে না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত আমরা প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। ঠান্ডা পড়লে নিউমোনিয়া বাড়ে। কিন্তু আমাদের এখানে নিউমোনিয়ায় মৃত্যু খুব বেশি নেই। কিছু রোগী নিউমোনিয়ার সঙ্গে অন্য কোনো জটিলতা থাকার কারণে মারা যায়। সেটা ঘটে বেশি দেরি করে হাসপাতালে আসলে। তখন আমাদের পক্ষে অনেক কিছু করাই সম্ভব হয় না।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন