হোম আন্তর্জাতিক হাসপাতাল থেকে ছাড় পেয়ে তদন্তের মুখে সোনিয়া গান্ধী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আপাতত তাকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড় পাওয়ার আগেই অর্থপাচার সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোনিয়াকে ডাকা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি দফতরে।

সোমবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় এক টুইট বার্তায় হাসপাতাল থেকে সোনিয়া গান্ধীর ছাড়া পাওয়ার খবর জানান সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। খবর এনডিটিভির।

টুইট বার্তায় রমেশ লেখেন, ‘কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় স্যার গঙ্গারাম হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে বাড়িতে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সোনিয়া। করোনামুক্ত হওয়ার পর তার শ্বাসনালীতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। চলতি মাসের শুরুতে করোনা আক্রান্ত হন সোনিয়া গান্ধী। প্রথমে ছিলেন হোম আইসোলেশনে। এরপর গত ১২ জুন তাকে গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেসের এই নেত্রীকে আগেই তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি তিনি।

এর মধ্যেই আগামী ২৩ জুন ফের ইডির দফতরে তলব করা হয়েছে সোনিয়া গান্ধীকে। তবে চিকিৎসকরা তাকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। ফলে সোনিয়া নির্দিষ্ট তারিখে ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন কিনা তা নিয়ে দেশটির রাজনৈতিক মহলে এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

এর আগে, একই মামলায় সম্প্রতি টানা তিন দফায় সোনিয়া গান্ধীর ছেলে ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির কর্মকর্তারা।

নয় বছর আগে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির একজন পার্লামেন্ট সদস্য রাহুল ও তার মা সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, ভুয়া কোম্পানি দেখিয়ে প্রায় ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন তারা। এটি ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ ‍মামলা নামে পরিচিত।

তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনিভাবে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগের সত্যতা নেই। ইডি একসময় মামলাটি বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে আবার রাজনৈতিক কারণে চালু করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন