আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেডসের সদস্যদের ভালো আচরণের প্রশংসা করে একটি চিঠি লিখেছেন ইসরাইলি এক নারী। চলতি সপ্তাহে গাজা থেকে ছাড়া পাওয়ার আগে চিঠিটি লিখেছিলেন ড্যানিয়েল অ্যালোনি নামের ওই নারী, যেখানে হামাস তার মেয়েকে ‘রাজকন্যার মতো’ রেখেছিল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) আনাদোলু এজেন্সি, তেহরান টাইমস, টিআরটি, জেরুজালেম পোস্টসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যকার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান ড্যানিয়েল অ্যালোনি ও তার ৫ বছর বয়সী মেয়ে এমিলিয়া। গত ২৪ নভেম্বর তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হন।
কিন্তু ইসরাইলে ফিরে যাওয়ার আগে হামাসের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখেছিলেন ড্যানিয়েল, যেখানে তিনি তার মেয়ে শিশুর প্রতি সংগঠনটির সদস্যদের অসাধারণ উদারতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। চিঠিটির ওপরে ২৩ নভেম্বরের তারিখ দেয়া ছিল।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘আমার মেয়ে এমিলিয়ার প্রতি অসাধারণ মানবিকতার জন্য আমি আমার হৃদয়ের গভীর থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।’
চিঠিটি মূলত হিব্রুতে লেখা হয়েছিল। সোমবার (২৭ নভেম্বর) কাসেম ব্রিগেডসের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ওই মা ও মেয়ের একটি ছবিসহ চিঠিটির আরবি অনুবাদও শেয়ার করা হয়।
ড্যানিয়েল লিখেছেন, সে (এমিলিয়া) অনুভব করেছে যে আপনারা সবাই তার বন্ধু। শুধু বন্ধু নয়, সত্যিকারের কাছের এবং ভালো মানুষ।
চিঠিতে এমিলিয়া ছাড়াও অন্য বন্দিদের সঙ্গে হামাসের ভালো আচরণের প্রশংসা করেছেন তিনি।
ড্যানিয়েল আরও বলেছেন, আমার মেয়ে কেবল হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে বন্ধুর মতোই থাকেনি, সে রাজকন্যার মতো অনুভব করেছে।
তিনি আরও লেখেন, শিশুদের বন্দি রাখা উচিত নয়। তবে আপনাদের এবং অন্য সদয় ব্যক্তিদের ধন্যবাদ, যাদের কারণে আমার মেয়ে গাজায় রানীর মতো ছিল। আপনারা তার সঙ্গে দয়া ও সহানুভূতিশীল আচরণ করেছেন।
হামাসের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ড্যানিয়েল তার চিঠির শেষে লিখেছেন, আপনারা যে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন এবং গাজায় যে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তা সত্ত্বেও আপনাদের সদয় আচরণ আমি মনে রাখব।
চিঠিতে গাজাবাসীর সার্বিক মঙ্গল কামনা করেন ড্যানিয়েল অ্যালোনি।
গত মাসে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়ে ড্যানিয়েল ও এমিলিয়া হামাসের হাতে আটক হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।