হোম খুলনাযশোর হতাশায় যশোর আইটি পার্কের বিনিয়োগকারীরা

হতাশায় যশোর আইটি পার্কের বিনিয়োগকারীরা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 25 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

প্রতিষ্ঠার ৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারেনি যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। এখানে যারা বিনিয়োগ করেছেন হতাশায় ঘিরে ফেলেছে তাদের। অনেকেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে চলে গেছেন। বিনিয়োগকারীদের দাবি সরকারের প্রতিশ্রুত সুযোগ সুবিধা না মেলায় তারা নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি।

তবে ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে দেশের অন্যতম আইটি হাব হয়ে উঠবে দেশের প্রথম এই আইসিটি পার্কটি।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নয়ন, দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি, জ্ঞানভিত্তিক শিল্প স্থাপন, উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে যশোরে গড়ে তোলা হয় দেশের প্রথম আইসিটি পার্ক। উদ্যোক্তাদের আশ্বানিত করা হয় সরকারি সহযোগিতায় সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কটি হবে বাংলাদেশের সিলিকন ভ্যালি।

মেধাভিত্তিক অর্থনীতির দ্বার উন্মোচিত হবে। কিন্তু তার কিছুই হয়নি। আসেনি বিদেশি বিনিয়োগ। বর্তমান বিনিয়োগকারীদের বেশির ভাগ প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল মার্কেটিং, কল সেন্টার পরিচালনা ও গ্রাফিকস ডিজাইনিংয়ের কাজ করেন। কিন্তু সরকারের প্রতিশ্রুত সুযোগ সুবিধা না মেলায় সে কাজেও আশানুরূপ সফলতা নেই। যে কারণে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ ইতমধ্যে পার্কটি ছেড়েছেন। এখনও যারা আছেন তারা হতাশায় ভুগছেন।

বিনিয়োগকারী উৎসব টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অজয় দত্ত বলেন, ‘অনেক সম্ভাবনা নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করছিলো। আমরা আশা করেছিলাম এ প্রতিষ্ঠানটি আইটি হাব হবে। শিক্ষার্থীরা এখানে শিখবে, দক্ষ হবে এবং অর্জিত দক্ষতা দিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করবে। পাশাপাশি আমাদের ব্যবসা বাড়বে। কিন্তু গত ৭ বছরে তার কিছুই হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ আইটি পার্কের সফলতার জন্য কি কি প্রয়োজন তা নিয়ে সরকারের সাথে আমরা আলোচনার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সরকার আমাদের সাথে চোর পুলিশ খেলা খেলেছে। ফলে অনেক উদ্যোক্তা হতাশ‌ হয়ে আইটি পার্ক ছেড়েছে।’

বিনিয়োগকারী অংশ আইটি’র সিইও মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৭ সালে যখন যশোর আইটি পার্ক উদ্বোধন হয় তখন বলা হয়েছিল ৫ বছরের মধ্যে এটাকে সিলিকন ভ্যালিতে রূপান্তর করা হবে। কিন্তু সেটা হয়নি। বরং ওইসময় যারা বিনিয়োগ করেছিলেন তাদের ১৫ জনের ইতমধ্যে চলে গেছেন। নতুন নতুন কিছু কোম্পানি আসলেও তারাও বিভিন্ন সময় হতাশ হয়ে চলে গেছে। মূলত সরকারিভাবে যে পৃষ্ঠপোষকতা করার কথা ছিল সেগুলো করা হয়নি বলেই ব্যবসায় বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। আমি নিজেও হতাশ। দেখছি দেখছি বলে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু জনবলের অভাবে সেটা হচ্ছে না।’

বিনিয়োগকারী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের বাইরের প্রতিষ্ঠান ছিল। এখানে এসেছিলাম প্রতিষ্ঠানের কলবর বৃদ্ধি পাবে সেই আশায়। এখানে আসার পর আমরা বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। বিশেষ করে বরাদ্দকৃত ফ্লোরের অতিরিক্ত ভাড়া ও স্বাভাবিকের থেকেও বেশি বিদ্যুৎ বিল, দক্ষ কর্মী সংকট আমাদের বিকশিত হতে দেয়নি। অথচ সরকারের থেকে এসব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করার কথা ছিল।’

ইভেন্টটেক’র কো-ফাউন্ডার নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গল শিল্পাঞ্চলে যেসব সুবিধা থাকে সেগুলো আমাদের দেয়ার অঙ্গীকার করেছিল সরকার। কিন্তু তৃতীয় পক্ষকে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়ায় সরকারি সুবিধা প্রাপ্তি এবং আমাদের কথাগুলো সরকারের কাছে পৌঁছানোর বিষয়টি পূর্ণাঙ্গতা পায়নি। কলেজে উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকার যদি তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে তাহলে যশোর আইটি পার্ককে ঘিরে অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করা সম্ভব।’

তবে ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে দেশের অন্যতম আইটি হাব হয়ে উঠবে দেশের প্রথম এই আইসিটি পার্কটি।

যশোর সফওয়্যার ও টেকনোলজি পার্ক ইনভেস্টার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাজালাল বলেন, ‘উদ্যোগ তোরা যে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন তা বাস্তবায়ন করতে হলে বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ব্যয় কমাতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। একাডেমির সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির সমন্বয়ে ঘটাতে হবে। একইসঙ্গে সরকারি উদ্যোগে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মার্কেটের সাথে উদ্যোক্তাদের মেলবন্ধন করে দিতে হবে। এসব বিষয়ে আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবহিত করেছি। সরকার সাড়া দিলে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের উদ্বোধন করা হয়। যশোর শহরের নাজির শঙ্করপুর এলাকায় ১২ একরের কিছু বেশি জমিতে পার্কটি করতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৩০৫ কোটি টাকা।
শিক্ষা ডেস্ক:

রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত ছিল দাবি করেছেন এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ফলে এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনে চরম বিশৃঙ্খলা নেমে আসে বলে জানান তারা।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এ সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০১৭ সালে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে ঢাবির অধিভুক্ত করা হয় জানিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দাবি, এ সিদ্ধান্ত ছিল সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত। ফলে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এ কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করা হয়েছিল, সেটা ৮ বছরেও অর্জন করা সম্ভব হয়নি। বিপরীতে এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনে নেমে আসে চরম বিশৃঙ্খলা। এক কথায় শিক্ষার মানের উন্নতির পরিবর্তে ঢাবি প্রশাসনের বৈষম্যমূলক বিভিন্ন নীতি ও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার যথাযথ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

‘এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা এখন সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত বা স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি তুলেছেন। এ দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কারও থেকেই কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া পাইনি। তাদের এমন নিশ্চুপ অবস্থান আমাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে’, যোগ করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

তারা বলেন, স্বায়ত্তশাসিত বা স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আমরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজের সমস্যার চিত্র তুলে ধরি। নানা সমস্যা তুলে ধরতে আয়োজিত প্রথম এ সংবাদ সম্মেলনে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানিয়েছি। এরপর একই দাবি জানিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। একই স্মারকলিপি কলেজগুলোর অধ্যক্ষদেরও দিয়েছি।

‘এরপর গত ২২ অক্টোবর আমরা সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করি। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি চলে। বিকেলে সায়েন্সল্যাব মোড়ে কর্মসূচি থেকে ৩ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়া হয়। সেইসঙ্গে সেদিনের মতো কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাত কলেজের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যা নিরসনে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়,’ যোগ করেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকভাবে এ কমিটি গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে এ কমিটির লক্ষ্য- উদ্দেশ্য নিয়ে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে কিছুই উল্লেখ নেই। কার্যপরিধিতে সংস্কারের কথা থাকলেও আমরা মূলত এখন আর কোনো সংস্কার চাচ্ছি না। আমরা এখন সাত কলেজের সমন্বয়ে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবির আন্দোলনে রয়েছি। এখানে আমাদের দাবির সঙ্গে তাদের কার্যপরিধি সাংঘর্ষিক। তাই আমরা তাদের এ কমিটির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে বেশ শঙ্কিত। এমন বাস্তবতায় কমিটির মোটিভ আর শিক্ষার্থী প্রতিনিধি না থাকায় ১৩ সদস্যের এ কমিটিকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। এখানে শিক্ষার্থীদের দাবির কোনো ধরনের প্রতিফলন ঘটেনি।’

এ অবস্থায় তাদের দাবি, অনতিবিলম্বে সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে কমিশন গঠন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় গঠন কাঠামো ভালো বোঝেন, এমন নিরপেক্ষ শিক্ষাবিদ এবং বুদ্ধিজীবীদের বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনে প্রাধান্য দিতে হবে। সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং শিক্ষার্থীদের পালস বোঝেন, এমন শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের কমিশনে যুক্ত করতে হবে। শিক্ষার্থী বিমুখ কোনো একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া হবে না।

তারা বলেন, আমাদের দাবি ও আন্দোলনের যৌক্তিকতা অনুধাবন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আমাদেরকে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ঢাবিতে ডেকে নেন। সেখানে আন্দোলনে ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের সাত কলেজ শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধিদের সামনে আমরা আমাদের দাবির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরি। তারা আমাদের অবস্থান বুঝতে পেরে এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানান। পরবর্তীকালে যেকোনো পদক্ষেপে তারা আমাদের সমর্থনের আশ্বাস দেন।

‘আমরা তাদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের ১৩ সদস্যের কমিটির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছি। এ কমিটির বিষয়ে আমরা আমাদের অবস্থান জানিয়েছি। আমরা তাদেরকে সরকারের সমন্বয়ে ‘সংস্কার’ কমিটির পরিবর্তে ‘বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন’ গঠন করতে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছি। তাদেরকে কমিশনের কাঠামো সম্পর্কেও জানিয়েছি। এসব দাবি বাস্তবায়নে আমরা তাদেরকে আগামী তিন কার্যদিবস সময়ের কথা জানিয়েছি। এর মধ্য দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী মঙ্গলবার আমরা আমাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো,’ যোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

এরমধ্যে আগামী তিন দিন সাত কলেজের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে কর্মসূচি চলমান থাকবে জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, তিন দিনের কর্মসূচির মধ্যে রোববার নিজ নিজ ক্যাম্পাসে গ্রাফিতি অঙ্কন কর্মসূচি পালিত হবে। সোমবার কলেজে কলেজে সবগুলো ডিপার্টমেন্টে দাবির পক্ষে গণসংযোগ কর্মসূচি পালিত হবে। এরপর মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন