খেলাধূলা ডেস্ক :
স্বপ্ন ছিল বড়। আর সে লক্ষ্যে এতদিন সফলও হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু এবার স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বেশিদূর যেতে পারল না তারা। ভালো শুরু করেও শেষ পর্যন্ত থামতে হয়েছে অল্পতেই। সুপার সিক্সের ম্যাচে টাইগ্রেসরা থামল ১০৫ রানে।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় শুরু হয় অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বের লড়াই। সে লড়াইয়ে প্রথম দিনেই স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয় লাল-সবুজের দল। ম্যাচটিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান স্কোরবোর্ডে তুলতে পারে মেয়েরা।
প্রথম ওভারেই দুর্দান্ত সূচনা পায় টাইগ্রেসরা। দুই ওপেনার আফিয়া প্রত্যাশা ও মিষ্টি সাহা জেম্মা বোথার সেই ওভারে নেন ১১ রান। তবে দ্বিতীয় ওভারে বাংলাদেশের রানের গতি কমে আসে। আয়ন্দা হুলুবির ওভারটিতে বাংলাদেশ পায় মাত্র ৫ রান। তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারেও এই ধারা বজায় থাকে। ফলে কিছুটা চাপ অনুভব করেন দুই ওপেনার।
এই চাপের খেসারত দিতে হয় পঞ্চম ওভারে। ৪.৩ ওভারে জেম্মার করা বলে ক্যাচ তুলে দেন মিষ্টি সাহা। ১৪ বলে ১২ রান করে আউট হন মিষ্টি। দলীয় ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। তখন উইকেটে এসে রান তোলার চেষ্টা করেন দিলারা আক্তার। অষ্টম ওভারে কায়লা রেইনেকের বলে পরপর তিনটি চার আদায় করেন দিলারা। তবে কিছুক্ষণ পরই বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন রেইনেকে।
একেক করে বাংলাদেশের চার উইকেট তুলে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই বোলার। এর মধ্যে ১৭তম ওভারে ২ রান দিয়ে তুলে নেন দুই উইকেট। এদিন ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার আগেই টাইগ্রেসদের থামিয়ে দেন রেইনেকে। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন সুমাইয়া আক্তার। সেটিও ছিল খুব ধীরগতির ইনিংস। ২৮ বল থেকে ২৪ রান করেন সুমাইয়া। সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশ ১০৫ রান তুলতে পারে।