রাজনীতি ডেস্ক:
নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সেন্টমার্টিন ইস্যু নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার মিয়ানমারকে কিছু বলতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে কেউ যেতে পারছি না। সেন্টমার্টিনে গেলে গুলি করা হচ্ছে। সেন্টমার্টিনে খাদ্য সংকট চরমে, তা নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা নেই। সরকার নিশ্চুপ। কি দুঃখজনক অবস্থা!’
‘সরকারের দাসসুলভ আচরণ ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে মিয়ানমার সরকারকে কিছু বলতে পারছে না ক্ষমতাসীনরা’, যোগ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। বর্তমান আওয়ামী শাসন আমলের মতো জাতির জন্য ঘন অমানিশা আর কখনও আসেনি।’
তিনি বলেন, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে পুরো দেশ। দুর্নীতি নিয়ে শেখ সাহেবের একটি বক্তব্য টিভিতে প্রচার হয়, কিন্তু প্রশ্ন জাগে যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা কি শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্য শোনেন না?
বিএনপিকে দুর্নীতিবাজ বলে সরকার পুরো জাতিকে বোকা বানাচ্ছে মন্তব্য করে ফখরুর বলেন, এটা চিরস্থায়ী নয়। এখন সব বের হয়ে আসছে, থলের বিড়াল বের হয়ে আসছে।
‘বেনজীর ও আজিজের বে-নজির কাজ গণমাধ্যমে এসেছে। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি করে ভাইদের পাসপোর্ট করেছেন সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ, যা চিন্তা করা যায় না। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ অকুণ্ঠ দুর্নীতি করেছেন- এগুলো ভাবা যায় না’, যোগ করেন ফখরুল।
জগদ্দল পাথরের মতো আওয়ামী লীগ বেআইনিভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তাদের সরাতে হবে। তবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া দানব সরকারকে সরানো যাবে না।’
ফখরুল বলেন, রাতারাতি দুচারটা বোমা ফাটিয়ে পরিবর্তন সম্ভব নয়। সবাইকে নেমে আসতে হবে। জনগণকে এক হতে হবে। তাহলে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।