হোম এক্সক্লুসিভ সেদিন প্রতিবাদ হলে মুশতাক বঙ্গোপসাগরে ভেসে যেত: আইনমন্ত্রী

রাজনীতি ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা, গান ও প্রামাণ্যচিত্রসহ নানা কাজ হচ্ছে, তবে তাকে হত্যার দিন কেউ কোনো প্রতিবাদ করেননি বলে আক্ষেপ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

বুধবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ আইন সমিতি।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর এখন অনেকেই কবিতা, প্রামাণ্য চিত্র বানান। তার নামে অনেকে অনেক কিছু করেছেন। কিন্তু যেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো, সেদিন সবাই চুপ ছিল। কেউ কোনো কথা বলেননি। কেউ বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করেননি। যদি কেউ প্রতিবাদ করতো, এমনকি বঙ্গবন্ধুর কোনো মন্ত্রীও যদি খন্দকার মুশতাকের সামনে প্রতিবাদ করতো, তাহলে সেদিনই তিনি বে-অব-বেঙ্গলে (বঙ্গোপসাগর) ভেসে যেত। আর মুশতাকের মন্ত্রিসভায় বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীরা যোগ না দিলে, তখনই খুনিরা ক্ষমতায় আসতে পারতো না।’

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে আমার বাবা (সিরাজুল হক) খন্দকার মোশতাকের প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি একবার খন্দকার মোশতাককে বলেছিলেন, ‘আপনি এইখানে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। আপনি বাইরে আসেন, চড় দিয়ে আপনার দাঁত ফেলে দেবো।’

দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিএনপি-জামায়াতকে খেলার সুযোগ দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আনিসুল হক বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছে। আমরা মুখ বুজে অনেক সহ্য করেছি। এখন তারা আবার ক্ষমতায় আসতে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। আর কাউকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না, এখনই ফুল স্টপ।’

বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি মনজুর মোহাম্মদ শাহনেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আবদুর নূর দুলাল, বাংলা ইনসাইডারের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর, বাংলাদেশ আইন সমিতির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবু কাওছারসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষার্থীরা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন