শ্যামনগর প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনে বনদস্যু মন্জুর বাহিনীর কাছে বিশ জেলে জিম্মি, মুক্তিপন দিয়ে ফিরলো অনেকেই ৷ গত ২৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ বিকালে কদমতলা স্টেশন থেকে বৈধ পাশ-পারমিট নিয়ে মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নে সিংড়তলী গ্রামের হোসেন গাজী ও তার ছেলে বাক্কার সহ ছয় জন জেলে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গেলে গত ৩০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ সকালে চুনকুড়িঁ নদীর তক্কাখালী নামক স্থানে কাঁকড়া ধরার জন্য পৌঁছালে মন্জুর বাহিনীর চার সদস্য বিশিষ্ট একটি বনদস্যু দল ২ নালা ২টি বন্দুক ও ১ নালা ১টি বন্দুক নিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে ৷ লোকালয় নিকটে হওয়ায় বাক্কার মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে মুক্তিপনের নৌকা প্রতি ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে বনদস্যুদের পরিশোধ করে বাড়িতে ফিরে আসে ৷অপরদিকে একি এলাকার জাফর গাজী ও তার ছেলে আল মামুন ১টি নৌকা নিয়ে ১০ হাজার টাকা ও হরিনগর গ্রামের মজু গাজীর ছেলে রাঙা নামের একজন জেলে ও তার সঙ্গী ১০ হাজার টাকা মুক্তিপন দিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছে ৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জিম্মিকৃত ব্যক্তির পরিবার থেকে জানাগেছে, ১ টি নৌকায় দুইজন কাঁকড়া ধরতে গেলে তাদের একজনকে জিম্মি করে ৷ এবং অপরজনকে জিম্মির টাকার জন্য ছেড়ে দেয় ৷ এখন জিম্মির টাকা জোগাড় করতে চরম বিপাকে তার পরিবার ৷একটি বিশেষ সংবাদে জানা গেছে, বুড়িগোয়ালীনি, মুন্সীগঞ্জ, কৈখালীর কমপক্ষ বিশজন জেলেকে তারা জিম্মি করে মুক্তিপন আদায় করেছে ৷ তার মধ্যে প্রায় দশ জন জেলে বাড়ী ফিরে এসেছে ৷ জীবিকার তাগিদে পূনরায় সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে যাওয়ার প্রয়োজন বিধায় কেউ এখন মুখ খুলতে নারাজ ৷
সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা হাসানুর রহমান জানান, ফিরে আসা জেলেরা তথ্য দিচ্ছে ৷ বনদস্যুরা ২/৪জন করে জেলেদের মুক্তিপনের জন্য তুলে নিচ্ছে এবং মুক্তিপন নিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছে ৷ আমি আইনসৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করেছি ৷ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে ৷