হোম অর্থ ও বাণিজ্য সুগন্ধি চাল রফতানির সময় বাড়লো

সুগন্ধি চাল রফতানির সময় বাড়লো

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 52 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
সরকার সুগন্ধি চাল রফতানির অনুমতির সময়সীমা বাড়িয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সুগন্ধি চাল রফতানি করা যাবে। আগে এই সময়সীমা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রফতানি-২ শাখার উপ-সচিব এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসীর সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশে রফতানিযোগ্য সুগন্ধি চালের একটি তালিকা রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। এসব চালের ধরন হচ্ছে— কালিজিরা, কালিজিরা টিপিএল-৬২, চিনিগুঁড়া, চিনি আতপ, চিনি কানাই, বাদশাভোগ, কাটারিভোগ, মদনভোগ, রাঁধুনিপাগল, বাঁশফুল, জটাবাঁশফুল, বিন্নাফুল, তুলসীমালা, তুলসী আতপ, তুলসী মণি, মধুমালা, খোরমা, সাককুর খোরমা, নুনিয়া, পশুশাইল, দুলাভোগ ইত্যাদি।

চিঠির শর্ত অনুযায়ী, বর্ধিত সময়ে মোট ৫০টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে সুগন্ধি চাল রফতানি করতে পারবে। অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি চাল রফতানি করা যাবে না এবং সর্বনিম্ন রফতানিমূল্য হবে প্রতি কেজি ১ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলার। এছাড়া এ অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তর যোগ্য নয়, তাই অনুমোদিত রফতানিকারক কোনোভাবেই নিজে রফতানি না করে সাব-কন্ট্রাক্ট দিতে পারবে না।

চিঠির শর্তে আরও বলা হয়েছে, শুল্ক কর্তৃপক্ষ রফতানিযোগ্য পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। প্রতিটি চালান জাহাজীকরণ শেষে রফতানি সংক্রান্ত সব কাগজপত্র রফতানি-২ শাখায় পাঠাতে হবে। পরবর্তী আবেদনের ক্ষেত্রে আগের অনুমোদিত পরিমাণ থেকে প্রকৃত রফতানির পরিমাণ সংক্রান্ত সব তথ্যপ্রমাণসহ আবেদন করতে হবে। সরকার প্রয়োজনে যেকোনও সময় এ রফতানি অনুমতি বাতিল করতে পারবে।

উল্লেখ্য, এর আগেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৫২ প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ৮০০ টন সুগন্ধি চাল রফতানির অনুমতি দিয়ে গত ২৮ মে পরিপত্র জারি করে। রফতানিকারকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে এ চাল রফানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে তখনকার বাণিজ্য সচিব মো. মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।

এরও আগে গত ৮ এপ্রিল ১৩৩ প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার ১৫০ টন সুগন্ধি চাল রফতানির অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। দুই দফা মিলিয়ে অনুমোদনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ হাজার ৯৫০ টন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশে বছরে গড়ে সুগন্ধি চাল উৎপাদন হয় ১৮-২০ লাখ টন। আর আগে বছরে গড়ে রফতানি হয়েছে ১০ হাজার টন। অর্থাৎ উৎপাদনের তুলনায় চালের রফতানির হিস্যা অনেক কম। যে কারণে চাল রফতানিতে খাদ্য নিরাপত্তার কোনও ঝুঁকি নেই বলে বারবার দাবি করে আসছেন রফতানিকারকরা।

এ পর্যন্ত বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের ১৩০টির বেশি দেশে সুগন্ধি চাল রফতানি হয়েছে।

দেশ থেকে প্রথম বছর ৬৬৩ টন সুগন্ধি চাল রফতানি হয়। পরের বছরগুলোতে রফতানির পরিমাণ বাড়তে বাড়তে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ হাজার ৮৭৯ টনে উন্নীত হয়। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮৬ লাখ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৫ লাখ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫১ লাখ মার্কিন ডলারের সুগন্ধি চাল রফতানি হয়েছিল।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন