জাতীয় ডেস্ক:
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজের ট্যাংকারে বিস্ফোরণের তৃতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানে নিখোঁজ সবার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার (৩ জুলাই) তিন জনের মরদেহই সাগর নন্দিনী-২ নামে এ জাহাজের উড়ে যাওয়া অংশটি থেকেই উদ্ধার হয়েছে। সবার মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় অভিযান বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।
শনিবার (১ জুলাই) দুপুরে ঝালকাঠি সুগন্ধা নদীতে নোঙর করা অবস্থায় ১১ লাখ লিটার তেল নিয়ে বিস্ফোরিত হয় সাগর নন্দিনী-২। এ সময় ট্যাংকারটির মাস্টার কক্ষসহ পেছনের অংশটি উড়ে গিয়ে নদীর মধ্যে ডুবে যায়। জাহাজে থাকা মোট ৯ জনের মধ্যে পাঁচজন আহত ও দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হলেও চার জন নিখোঁজ থাকেন।
রোববার (২ জুলাই) দুপুরে বিধ্বস্ত জাহাজটির ইঞ্জিনরুম থেকে উদ্ধার হয় গ্রিজার আব্দুস সালাম হৃদয়ের মরদেহ। একদিন পর সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কোস্টগার্ডের নেতৃত্বে বিআইডব্লিউটি’র উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীক ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ অভিযানে বাকি তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয় জাহাজটির ডুবে যাওয়া অংশ থেকে। এ সময় নদীর পাড়ে স্বজন ও শত শত মানুষ ভিড় করেন। স্বজনরা বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।
তৃতীয় দিন শেষে যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন-মাস্টার ইনচার্জ রুহুল আমীন খান, সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান বেলাল ও ড্রাইভার সরোয়ার হোসেন আকরাম। এর আগে রোববার দুপুরে জাহাজের ইঞ্জিন রুম থেকে উদ্ধার হয় গ্রিজার আব্দুস সালাম হদয়ের মরদেহ।
কোস্টগার্ড অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট শাফায়েত হোসেন জানিয়েছে, আইনি প্রক্রিয়ায় মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে অভিযান সমাপ্ত করা হবে। সব তেল খালাস করে বিধ্বস্ত জাহাজের সাগর নন্দীনি-২ কে নদীতে ভাসিয়ে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মোট ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে ঝালকাঠি শহরের পৌরসভা খেয়াঘাটের অপর পাশে সুগন্ধা নদীতে শনিবার সাগর নন্দিনী-২ বিস্ফোরিত হয়। ঘটনার পর ট্যাংকারে থাকা মোট ৯ জন শ্রমিকের মধ্যে দগ্ধ হয়ে পাঁচ জন আহত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিলেন। নিখোঁজ হয়েছিলেন চার জন। সোমবার দিনভর অভিযানে তাদের সবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।