আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে পারস্পরিক সমঝোতায় পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তান। দুই দেশের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে জিও নিউজ।
জিও নিউজকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ৩০ মে’র মধ্যে সেনাবাহিনীকে শান্তিকালীন অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় উভয় দেশের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন।
চলতি মাসের শুরুতে সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর থেকে যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে, সেনা প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্তকে তার দ্বিতীয় ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা একে ‘বিশ্বাসভিত্তিক পদক্ষেপের ধারাবাহিকতা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘সেনা মোতায়েন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তটি যুদ্ধবিরতি কাঠামোর দ্বিতীয় ধাপের অংশ। এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ছিল।’
চলতি মাসের শুরুতে দেশ দুটির মধ্যে চরম সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হওয়ার পর এই পদক্ষেপকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে, ভারতের কিছু আগ্রাসী পদক্ষেপ সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এর জের ধরেই উভয় পক্ষই সীমান্তে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নেয়। তবে সাম্প্রতিক পদক্ষেপে উভয় দেশ যে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজছে—সেই বার্তাই স্পষ্ট হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত দুই দেশের পক্ষ থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তবে ডিজিএমও পর্যায়ে সরাসরি সমন্বয় একটি বিরল ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের সমঝোতা দীর্ঘমেয়াদে দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।