আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে সামরিক বাহিনীর বাসে বোমা হামলায় অন্তত ১৪ সেনা নিহত হয়েছেন। বুধবার (২০ অক্টোবর) দেশটির সেনা কর্তৃপক্ষ এ খবর জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতের দামেস্কে এটিই সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক হামলা।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভির ফুটেজে দেখা গেছে, দামেস্কে সকালের দিকে যখন মানুষ কর্ম অভিমুখে যাত্রা করবে তখন ওই হামলা চালানো হয়।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি একটি জঙ্গি হামলা। বাসটি হাফেজ আল আসাদ ব্রিজের কাছাকাছি বিস্ফোরিত হয়। সেখানে দুটি বিস্ফোরক ডিভাইস পাওয়া গেছে। তৃতীয় ডিভাইসটি প্রকৌশলী সেনা কর্তৃক নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানার বরাত দিয়ে একটি সামরিক সূত্র জানিয়েছে, বোমাগুলো বাসেই সেট করা হয়েছিল।
এদিকে এই হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি। তবে আইএসকে সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ চলতি বছর দেশটির পূর্বাঞ্চলে সামরিক যানে আইএস হামলা করেছিল।
দামেস্ক পুলিশ কমান্ডার মেজর জেনারেল হুসেইন জুমা বলেন, এটি একটি বড় হামলা। পুলিশ আশেপাশের এলাকা ঘিরে ফেলেছে। নিশ্চিত হওয়া গেছে ওই এলাকায় আর কোনো বোমা নেই।
তিনি সাধারণ মানুষকে এ ব্যাপারে তথ্য দিয়ে সহাযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ১০ বছর ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। তবে রাজধানী দামেস্কে এইরকম হামলা সচরাচর দেখা যায় না। দামেস্কে এ হামলা ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) চালানো ওই আত্মঘাতী হামলায় ৩১ জন নিহত হয়েছিল।
২০১১ সালে গণতন্ত্রপন্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকার কঠোর হয়। এরপর দেশটিতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলে।
জাতিসংঘের হিসাবে, সরকারপন্থিদের সঙ্গে গণতন্ত্রপন্থীদের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত সাড়ে তিন লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। অর্ধেক মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এর মধ্যে ৬০ লাখ শরণার্থীও আছে।