রাজনীতি ডেস্ক:
‘হাতপাখার প্রার্থী কি ইন্তেকাল করেছেন’- প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের এ মন্তব্যকে ‘দায়িত্ব ও কাণ্ডজ্ঞানহীন’ বলে উল্লেখ করেছে ইসলামি মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ। এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করায় সিইসির পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) সংগঠনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারা হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে না পারায় হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীর ওপরে হামলা হয়েছে।
বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তাদেরকে একটি পরীক্ষা দেবার সুযোগ চেয়েছিলেন। কিন্তু ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অবাধ, নিরপেক্ষ, পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ব্যর্থ হয়ে তারা সে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন। বরিশালের ভেটার ও প্রার্থীদের প্রত্যাশা পুরণে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, ‘অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের আশ্বাসে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর জনগণের দাবির মুখে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের নীরবতায় নির্বাচনের দিন সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষের পেশিশক্তির হাতে তার দুইবার আক্রান্ত হওয়া দুঃখজনক ঘটনা।’
‘‘পাশাপাশি ‘উনি কি ইন্তেকাল করেছেন’ বলে সিইসি যে মন্তব্য করেছেন তা দায়িত্ব ও কাণ্ডজ্ঞানহীন। সিইসির এই মন্তব্য দেশবাসীর হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। এই মন্তব্যের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে তার পদত্যাগ করা জনদাবিতে পরিণত হয়েছে,’’ যোগ করেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি।