খেলার সংলাপ :
টাকার অভাবে সাফ চ্যাম্পিয়ন মেয়েরা মিয়ানমারে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিক বাছাইয়ে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। গত কয়েকদিন ধরেই দেশের ফুটবলে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় এটি। এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে গিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকেও খোঁচা মেরেছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এবার সালাউদ্দিনের সেই খোঁচার কড়া জবাব দিলেন পাপন।
আজ শুক্রবার (৭ এপ্রিল) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট জয়ের পর গনমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি। সেসময় সাফজয়ী নারীদের পুরস্কারের অর্থ ও কাজী সালাউদ্দিনের খোঁচার বিষয়ে পাপন বলেন, ‘যে যত কথাই বলুক, এসব নিয়ে আমি মন খারাপ করি না। তবে আমার কাছে সবচেয়ে খারাপ লাগছে মেয়েরা (অলিম্পিক বাছাই) যেতে পারল না! তাও মাত্র ২০ লাখ টাকার জন্য! এর চেয়ে দুঃখ, কষ্ট… মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কী কষ্টটাই না পেয়েছেন।‘
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই যে আপনাদের চ্যানেলগুলা (মিডিয়া) আছে না, তাদের কারও মালিকের কাছে বললেই তো দিয়ে দিত। আপনারা জানেন…বিশ্বাস করেন আমি কারও সাথে এটা বলিনি… আমাদের খেলোয়াড়েরাই তো দিত! বলত একবার। এটা কী! এতো গোপনে জিনিসটা করেছে… যে প্রসেসে করেছে… খুব দুঃখজনক।
পাপন আরও বলেন , ‘আমাদের ক্রিকেট বোর্ডে, ফুটবল বোর্ডে যে সমস্ত পরিচালকরা আছে, তারা ২০ লাখ টাকা দিতে পারবে না! তাদের অনেকের দৈনিক খরচই তো ২০ লাখ টাকা। আমার কাছে এটা আশ্চর্য লাগে। আমার মনে হয় কোনো ঘটনা আছে… আমি জানি না। আমার কাছে খুব আশ্চর্য লাগে। দুঃখজনক। দেশের জন্য এর চেয়ে বড় বদনাম.. দেশের বদনাম…. আর কিছু হয় না। আমরা বলছি আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমরা বলছি যে মাত্র ২০ লাখ টাকার জন্য আমাদের মেয়েরা প্রি অলিম্পিক খেলতে যেতে পারল না! এর চেয়ে লজ্জার বিষয় আর হয় না। এদের সাথে কথা বলার প্রশ্নই ওঠে না।’
এর আগে অলিম্পক বাছাইয়ে মেয়েদের না খেলার ব্যাখা দিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাফুফে। সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসনের নিয়মিত যোগাযোগ হলেও বাফুফের সঙ্গে এই দূরত্ব কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘সবার ব্যক্তিত্ব তো এক না। আমি তো লোক দেখিয়ে বলব না, এই প্রধানমন্ত্রী ফোন দিয়েছে। আমি ওই রকম না। আমি ফুটবল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছি। আমি ওই নাটক করতে পারব না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা করি। আমি লোক দেখাতে পারব না।’
গত সেপ্টেম্বরে সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ নারী ফুটবলারদের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের গড়িমসির কারণে ছয় মাস পর অবশেষে সেই অর্থ পেয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনসহ চারজন আসেন শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বিসিবি তাদের হাতে পুরস্কারের চেক তুলে দেয়। সাবিনাসহ কোচ ছোটনের হাতে চেক তুলে দেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস।