নিজস্ব প্রতিনিধি:
মৌসুমের প্রথম শিলাবৃষ্টিতে সাতক্ষীরায় আমের মুকুলসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় হালকা বাতাস ও শিলা বৃষ্টিতে প্রায় পাঁচভাগের বেশী আমের মুকুল ঝরে গেছে। ক্ষতি হয়েছে পিয়াজ, রসুন, গম, ডাল, সরিষা ও ভুট্টাসহ ফসলের।
আম চাষিরা জানিয়েছেন, শিলাবৃষ্টির আঘাতে সাতক্ষীরার সদর, তালা, কলারোয়া, আশাশুনি, দেবহাটা, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলায় আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে মুকুল ঝরে পড়েছে। গাছে থাকা মুকুলে দাগ হয়ে গেছে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১১৯৫ হেক্টর জমিতে, কলারোয়া উপজেলায় ৬০২ হেক্টর, তালা উপজেলায় ৭০৫ হেক্টর, দেবহাটা উপজেলায় ৩৬৮ হেক্টর, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৮০৫ হেক্টর, আশাশুনি উপজেলায় ১২৫ হেক্টর ও শ্যামনগর উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছিল। এ বছরও প্রায় সম পরিমাণ জমিতে আমের চাষ হয়েছে।
সদরের লাবসা এলাকার আম চাষি আঃ করিম, আবুল হোসেন, তালা উপজেলার নগরঘাটার আলফাজ হোসেন, আশাশুনির বুধহাটার আব্দুল গফ্ফারসহ অনেক আম চাষি জানান, বাগানে আমের মুকুল দেখে খুশিতে মন ভরে গিয়েছিল। মনে অনেক স্বপ্ন জেগেছিল। কিন্তু অসময়ের শিলা বৃষ্টিতে আমের মুকুলের সাথে ঝরে গেছে সেই স্বপ্ন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দু মন্ডল জানান, শিলাবৃষ্টি ও হালকা ঝড়ো বাতাসে আমের মুকুলের পাশাপাশি গম, ডাল, সরিষার ক্ষতি হয়েছে। তবে এ বৃষ্টি বোরো ধানের জন্য আশীর্বাদ। শিলা বৃষ্টির কারণে আমের মুকুল শতকরা ২০ভাগ নষ্ট হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামী দুইদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। এসময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। তবে পরবর্তী তিনদিনে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।