নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার রসুলপুরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় রাশিদা খাতুন নামের এক নারী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় আহত নারীর ছেলে ইমরান হোসেন বাদী হয়ে ওই দিন রাতে ১২ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরো ৩০/৩২ জনের নামে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছেন বলে জানা গেছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে রসুলপুর এলাকায় বাড়ির পাশে মাঠে ফুটবল খেলা ও বাড়ির মধ্যে ফুটবল যাওয়াকে কেন্দ্র করে তর্কবিতর্ককের এক পর্যায়ে পলাশপোল এলাকার আবু সাইদ ও মাহমুদুল ইসলাম, রসুলপুরের মন্টু ও রীনা খাতুন, উত্তর পলাশপালের সাত্তার ও সেলিমসহ ১২ জন হাতে লোহার রড, বাশের লাঠি, হাতুড়িসহ বেআইনী জনতা একতাবদ্ধ হয়ে বাদী ইমরান হোসেনের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাচ করতে থাকে। এসময় তার মা রাশিদা খাতুন প্রতিবাদ করলে তারা তাকে মারপিট করতে থাকে। একপর্যায়ে তার মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার হাতুড়ি দিয়ে মাথায় পিটিয়ে থেতলানো ফোলা জখম করে। এসময় বাদী ইমরান ঠেকাতে গেলে তারা তাকেও মারপিট ও জখম করে। এসময় তারা ইমরানের মায়ের গলা থেকে ১২ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং তার মাকে শ্লীলতা হানির চেষ্টা করে এবং তার মায়ের মাথায়, হাতে ও পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম করে। এসময় তারা তাদের ঘরে ঢুকে স্টিলের আলমারি থেকে নগদ ৫৫ হাজার টাকা নেয়। এছাড়া আসবাব পত্র ভাংচুর করে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। একপর্যায়ে তারা তাদেরকে মারপিট করে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। আহত রাশিদা খাতুন বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ রয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক জানান, পাল্টাপাল্টি দুটি অভিযোগ জমা পড়েছে। ইতিমধ্যে উভয় পক্ষ বিষয়টি নিয়ে বসবেন এবং বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন পুলিশকে জানানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।