সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ার পর থেকে প্রতিপক্ষ কর্তৃক দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূর চরিত্র নিয়ে জঘণ্য মিথ্যেচার করার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্যামনগর উপজেলার গড়কুমারপুর (পদ্মপুকুর) গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ হোসনেয়ারা এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ২০০৯ সালে পরিবারসহ সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করাকালিন মাগুরা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আশরাফ আলী আদালতের মাধ্যমে এফিডেভিট করে আমাকে তার ধর্ম মেয়ে
বানান।
পারিবারিক সম্পর্ক গভীর হলে তার ছেলে আহসানউল্লাহ ও হাবিবুল্লাহ শহরের জমি ক্রয় করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। একপর্যায় আশরাফ ও তার দুই ছেলে আহসানউল্লাহ ও হাবিবুল্লাহ তাদের ভিটেবাড়ি লিখে দেওয়ার শর্তে বিভিন্ন সময়ে আমার ও স্বামীর কাছ থেকে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে।
কিন্তু দীর্ঘদিন হলেও জমি লিখে না দেয়ায় চাপ প্রয়োগ করলে আমার ভগ্নিপতি ইব্রাহিমের নামে একটি চেক প্রদান করে। একপর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলে তারা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে। হোসনেয়ারা অভিযোগ করে বলেন,
আমি অশিক্ষিত হওয়ায় জমি দেওয়ার নাম করে তারা একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে সুচতুর আহসানউল্লাহ সেটি কাবিন নামায় স্বাক্ষর বলে তার সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি মর্মে প্রচার দিলেও কখনো স্ত্রী হিসেবে দাবি করেনি।
এসময় আহসানউল্লাহ মা আমাকে বলেন, জমি লিখে দিতে পারি আমার ছেলে আহসানউল্লাহর সাথে সংসার করতে হবে। না হলে জমিও দেবো না, টাকাও ফেরত হবে না। একপর্যায় চেক জালিয়াতির মামলা করতে আদালতের মাধ্যমে তাদের কাছে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়।
এরপর থেকে ওই প্রতারক চক্র পল্লী চিকিৎসক আশরাফ, তার মাদক সেবী ছেলে আহসান উল্লাহ ও মাদক ব্যবসায়ী হাবিবুল্লাহ আমার বিরুদ্ধে একাধিক বিয়েসহ চারিত্রিক ত্রুটির অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের
দিয়ে আমার ছবিসহ পত্রিকায় মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে।
এভাবে মিথ্যেচার করতে থাকলে আমাদের পরিবারের সদস্যদের আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে। এসব ঘটনায় আমার মেয়ের সংসারও ভাঙ্গার উপক্রম হয়েছে এবং ছেলেটিও মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, টাকা ফেরত চাওয়ায় প্রতারক আশরাফ, তার ছেলে আহসানউল্লাহ ও হাবিবুল্লাহগংরা সামাজিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে একাধিক বিয়ের অভিযোগ তুলেছে। অথচ আমার স্বামী সিরাজুল ইসলামকে নিয়ে আমি সুখেই আছি। এখুনি ওই চক্রের বিরুদ্ধে আইনগতব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে সম্মান নিয়ে আমাদের বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে আমাকে নগ্নভাবে উপস্থাপন করার ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে তথ্যের সত্যতা যাচাই করেসংবাদ প্রকাশে সাংবাদিক ভাইদের কাছে বিনীত অনুরোধ রাখছি।
তিনি ওই চক্রের কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক সম্মানের সাথে সমাজে বসবাসের সুযোগ সৃষ্টির দাবিতে সাতক্ষীরা
পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।