হোম অন্যান্যসারাদেশ সাতক্ষীরায় এনজিও গুলোর কিস্তি আদায়; নতুন করে ঋণ না দেওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ছে গ্রামীণ অর্থনীতি

সাতক্ষীরায় এনজিও গুলোর কিস্তি আদায়; নতুন করে ঋণ না দেওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ছে গ্রামীণ অর্থনীতি

কর্তৃক
০ মন্তব্য 106 ভিউজ

জামালউদ্দীন :

সাতক্ষীরায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজে ওঠা ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের অত্যাচারে অতিষ্ট জনসাধারণ। নভেল-১৯ করোনা ভাইরাস আক্রমণের শুরুর পর থেকে সরকার মাইক্রোক্রেডিট রেগুরেটরী অথরিটি সনদপ্রাপ্ত সকল প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ সাধারণ ছুটি শেষ হলে এ প্রতিষ্ঠানকে সীমিত আকারে আবারো কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বলা হলেও ঐ কার্যক্রমে যে নিয়মনীতি উল্লেখ করা হয়েছে তা কোন ভাবেই মানা হচ্ছে না। গ্রামীণ অর্থনীতি ও মফস্বল শহরে এখন মূল চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছে এ ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম। করোনা ভাইরাসে অর্থনীতি সচল রাখতে এ কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও চালানো হচ্ছে একতরফাভাবে। ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে ঋণ ও সঞ্চয়ের টাকা গ্রহণ করলেও ঋণ পরিশোধকারী নুতন কোন উদ্যোক্তাকে ঋণ প্রদান না করায় জনমনে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সরকার দেশের অর্থনীতি সচলের জন্য যে বৃহৎ অংকের প্রণোদনা ঋণ প্রান্তিক পর্যায়ে পৌছে দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিলেও কেন তা ক্ষতিগ্রস্থ উদ্যোক্তারা পাচ্ছে না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান তৈরী হয়েছে। মাইক্রোক্রেডিট রেগুরেটরী সনদপ্রাপ্ত ব্র্র্যাক, গ্রামীণব্যাংক, আশা, বুরো বাংলাদেশ, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন, উত্তরণ, সাস, উন্নয়ন প্রচেষ্টা, নবলোক, নওয়াবেকী গণমুখী সংঘ ছাড়াও অসংখ্য ছোট-বড় ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান প্রান্তিক পর্যায়ে ঋণের কিস্তি ও সঞ্চয় আদায় করলেও নতুন করে ঋণ প্রদান করছে না। অনুসন্ধানে জানা গেছে, অতিবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, কালবৈশাখী, ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও মহামারী করোনা ভাইরাসে সাতক্ষীরার সকল উদ্যোক্তা একেবারেই শেষ। কৃষকের ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হয়েছে। কৃষক ও উদ্যোক্তারা নতুন করে ঘুরে দাড়ানোর জন্য চেষ্টা করলেও একতরফা কিস্তি ও সঞ্চয় আদায়ে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে প্রান্তিক পর্যায়ে। এ রিপোর্ট পরিবেশনের আগে সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটার বুরো বাংলাদেশ এর শাখা ব্যবস্থাপক এ প্রতিবেদকের নিকট উক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জোর করে নয়, স্ব-ইচ্ছায় কিস্তি ও সঞ্চয় দিলে সেটা গ্রহণ করা হচ্ছে। আমাদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঋণের টাকা আদায় না হওয়ায় নতুন ঋণ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রণোদনার কথা উল্লেখ করা হলে বলেন, আমার এ ব্র্যাঞ্চ এখনো প্রণোদনা পায়নি। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের সেল ফোনে মঙ্গলবার বেলা দুপুর ২টায় বারবার যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন