নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি এবার কমিটি নিয়ে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব চারটি উপজেলা ও একটি পৌরসভা কমিটি ঘোষনা দেয়ার একদিন পর এসব কমিটির বিপক্ষে পাল্টা কমিটি ঘোষনা করেছেন জেলা বিএনপির অপর তিন যুগ্ম আহবায়ক। এ ফলে জেলা জুড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে অস্থিরতা।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী ও সদস্য সচিব আব্দুল আলীম গত ৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চারটি উপজেলা ও একটি পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করেন। এই কমিটির যারা নেতৃত্ব পেয়েছেন তারা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আহবায়ক অ্যাড. নুরুল ইসলাম ও সদস্য সচিব নুরে আলম সিদ্দিকী, সাতক্ষীরা পৌর বিএনপি আহবায়ক শের আলী ও সদস্য সচিব তাজকিন আহম্মেদ চিশতি, আশাশুনি উপজেলা আহবায়ক আব্দুস কুদ্দুস ও সদস্য সচিব এস এম মশিউল হুদা তুহিন, কালিগঞ্জ উপজেলা আহবায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব ডা. শেখ শফিকুল ইসলাম বাবু, দেবহাটা উপজেলা আহবায়ক মহিউদ্দীন সিদ্দিকী ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক বাবু।
এদিকে, পরদিন ৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সাতক্ষীরা পৌরসভা ও চারটি উপজেলায় বিএনপির পাল্টা কমিটি ঘোষনা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল হাসান, আব্দুর রউফ ও মৃনাল কান্তি রায়। এই তিন নেতার স্বাক্ষরিত পত্রে এসব কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। তাদের দেয়া পাল্টা কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন তারা হলেন, সাতক্ষীরা পৌর বিএনপিতে আহবায়ক শেখ মাছুম বিল্লাহ্ শাহিন ও সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ্ আল মামুন রাজু, আশাশুনি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আসিফুর রহমান তুহিন ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন বাবু, কালিগঞ্জ উপজেলায় অ্যাড. আব্দুস সাত্তার আহবায়ক ও সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, দেবহাটা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ সিরাজুল ইসলাম ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক বাবু এবং সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় আহবায়ক হাসান হাদী ও সদস্য সচিব আতাউর রহমান।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী জানান, সংগঠনকে গতিশীল করতে সাতক্ষীরা পৌরসভা ও চারটি উপজেলায় বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। এসব জায়গায় পাল্টা কমিটি দেওয়া হয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না বলে জানান। তিনি আরো জানান, যদি কেউ দিয়ে থাকে তবে এটা তাদের এখতিয়ার বর্হিভূত কর্মকান্ড।
এদিকে, পাল্টা কমিটি দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রউফ জানান, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির লোক হচ্ছে মোট ৬ জন। এর মধ্যে অন্যদের মতামত না নিয়ে তারা দুইজন মিলে কমিটি দিবে সেটা তো হতে পারেনা।
তিনি আরো জানান, আমরাও তিনজন স্বাক্ষরিত ৫ টি কমিটি দিয়েছি এবং ঘটনাটি কেন্দ্রে জানিয়েছে। দেখি কেন্দ্র থেকে কি সিদ্ধান্ত দেয়। প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়ে তিনি বলেন, দ্বন্দ্ব আগে ছিল না, এখন হয়েছে। তারা যদি দ্ব›দ্ব সৃষ্টি করে তবে আমাদের কি করার আছে।