হোম খুলনাসাতক্ষীরা সাতক্ষীরার ঠিকাদার বিএম রাজ্জাকের কাছে পাওনা ৩৩ লাখ টাকা উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরার ঠিকাদার বিএম রাজ্জাকের কাছে পাওনা ৩৩ লাখ টাকা উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 58 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার হামিজ উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে ঠিকাদার বি.এম আব্দুর রাজ্জাক এর বিরুদ্ধে পাওনাদারের ৩৩ লাখ টাকা না দিয়ে উল্টো সোসাল মিডিয়ায় মিথ্যে তথ্য প্রচারের পাশাপাশি বিভিন্ন ভাবে তাকে হয়রানি করছেন বলে অভিযাগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব এক সংবাদ সম্মেলনে যশোরের বেজপাড়া এলাকার এস.এম জি. মুক্তাদি এর ছেলে এস.এম শামীম এজাজ এই অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ঠিকাদার বি.এম আব্দুর রাজ্জাক ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে আমার ও আপন খালাতো ভাই এবং আমার মায়ের কাছ থেকে ৩৩ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। টাকা গুলো ছিল আমার আমার ব্যবসায়ী টাকা ও আমার ভাইয়ের ও মায়ের চাকরির পেনশিয়ানের টাকা। কিন্তু টাকা পরিশোধের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে বি.এম আব্দুর রাজ্জাকের কাছে আমার পাওনা টাকা চাইলে বিভিন্ন বাহানা করে আমাকে হয়রানি করতে থাকেন। পরে তার নিজস্ব একাউন্ট থেকে ৫ লক্ষ টাকার একটি এস.বি.এ.সি ব্যাংক লিঃ এর একটি চেক (হিসাব নং- ০০২৮১১১০০৫৭৪০, চেক নং- সি.ডি.বি ০৬২০২৫৩) প্রদান করেন। কিন্তু তার একাউন্টে টাকা না থাকায় চেকটি দুইবার ডিজঅনার করা হয়। পরে চেকের মামলা করতে গেলে তিনি দ্রুত টাকা পরিশোধ করার কথা বলেন। এভাবে একাধিকভার ওয়াদা ভঙ্গ করার পর আমার মা ও খালাতো ভাই তার কাছে গেলে তিনি কুরআন শরীফ সামনে রেখে ওয়াদা করে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার করেন।

এস.এম শামীম এজাজ আরো বলেন, এভাবে ওয়াদা ভঙ্গ করার পর গত ৭ মার্চ (২০২৫) আমিসহ আমার ভাই ও আত্মীয়স্বজনকে সাথে নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে টাকা চাওয়া মাত্রই তিনি আমাকে গালি-গালাজ করতে থাকেন এবং বলেন, তোর যে বাবার কাছে পারিস যা। তোরা আমার কাছে চাঁদা চাইতে এসেছিস তোদের নামে সেনা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করে জেলে পাঠাবো বলে হুমকি দেয়। এঘটনার পর আমি সাতক্ষীরা সদর থানায় তার নামে গত ৭ মার্চ একটি অভিযোগ করি। থানা থেকে তাকে ডেকে পাঠালে তিনি হাজির হননি। তিনি অভিযোগ করেন বলেন, বি.এম আব্দুর রাজ্জাক থানায় না গিয়ে উল্টো সেনা ক্যাম্পে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। গত ৮ মার্চ আমাদেরকে ডেকে পাঠালে আমরা হাজির হলে ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার জাহাঙ্গীর উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেন। উভয় পক্ষের কথা শুনার পর বি.এম রাজ্জাক এর সম্মতিতে তিন দফায় তিনি ২৩ লক্ষ টাকা পরিশোদ করার কথা বললে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা লেখা হয়। উক্ত স্ট্যাম্পে উল্লেখিত অঙ্গীকার অনুযায়ি আগামী ২৪ মাচ ৩ লক্ষ টাকা নগদ, বাকী ২০ লক্ষ টাকা (১০লক্ষ টাকা হারে) ২টি চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করবেন। এসময় তিনি বি.এম. আব্দুর রাজ্জাক নামীয় আই,এফ,আই,সি ব্যাংকের ৪০৬৫৩১৭০০৫০০১ নং হিসাবের ২টি চেক (নং- ০৫৫৫২৩১, চেক নং- ০৫৫৫২৩২) প্রদান করেন। শামীম এজাজ আরো বলেন, টাকা পরিশোধের সময় এগিয়ে আসায় বি.এম. আব্দুর রাজ্জাক নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনে ফেসবুক ও সোসাল মিডিয়ায় প্রবাকান্ডা ছড়াচ্ছেন। আমরা নাকি আবু জাহিদ ডাবলুর মাধ্যমে সুমন রহমানকে তার কাছে পাঠিয়েছি টাকা আদায়ের জন্য। য সম্পূর্ন মিথ্যে ও বানোয়াট। তার এই হিন কমংকান্ডে আমরা পারিবারিক ভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। তিনি ঠিকাদার বি.এম আব্দুর রাজ্জাকের কাছে পাওনা ৩৩ লাখ টাকা যাতে আদায় করতে পারেন সেজন্য সেনাবাহিনী, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ অলিউর রহমান, মোঃ আব্দুল গণি, মোঃ সুমন রহমান ও শামীম এজাজ এর মা বৃদ্ধা হোসনেয়ারা খাতুন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন