হোম জাতীয় সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলা তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলা তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 154 ভিউজ

সংকল্প ডেস্কঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা থাকার সময় সাতক্ষীরায় তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় করা এক মামলা তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন হাইকোর্ট। রাকিবুর রহমান নামে এক আসামির ক্ষেত্রে মামলার কার্যক্রম বাতিলের প্রশ্নে এর আগে জারি করা রুল খারিজ করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

আসামি রাকিবুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা হয়েছিল।

এর মধ্যে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি রাকিব ২০১৭ সালে হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। সেখানে বলা হয়, ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ১০ বছর। সে আবেদনে ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেন। সেইসঙ্গে মামলা বাতিল প্রশ্নে রুল জারি করেন। মামলাটি এরপর সেভাবেই পড়ে ছিল। বিষয়টি জানার পর সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত রুল শুনানির উদ্যোগ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। কয়েক দফা শুনানির পর বৃহস্পতিবার রায় দিলেন আদালত।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত রুল খারিজ করে দিয়েছেন। যেহেতু পুরোনো মামলা, তাই তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন। আর আবেদনকারীকে শিশু বলা হলেও অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় তার বয়স ১৬ বছরের বেশি ছিল। তাই শিশু আদালতে তার বিচারের প্রয়োজন নেই।’

ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সড়কপথে ঢাকায় ফেরার সময় কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলা হয়। বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়।

শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকরা সেদিন আহত হন। ওই ঘটনায় কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন কলারোয়া থানায় মামলা করতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা আদালতে নালিশি অভিযোগ করেন কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন। আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেন।

তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৭ মে বিএনপির তৎকালীন সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ২০১৭ সালের ১০ জুলাই অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হলে আসামিপক্ষ হাইকোর্টে আবেদন করে। ফলে মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন