নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবি সমিতির এক পক্ষের নির্বাচনে অপর পক্ষের হামলায় নির্বাচন বন্ধ হয়ে গেছে। সংঘর্ষ এড়াতে সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেন। এদিকে, আদালত প্রাঙ্গনে দুই পক্ষের আইনজীবিদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
এক পক্ষের নির্বাচন কশিনার অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে অ্যাড. এম শাহ আলম- তোজাম এবং প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী অ্যাড. রবিউল ইসলাম খান- এমদাদ প্যানেলের নির্বাচন চলছিল। একপর্যায়ে ভোট গ্রহন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর অপর পক্ষের অ্যাড. আব্দুল মজিদ- সবুজ প্যানেলের (বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত দাবী করা) সমর্থকরা ভোট বন্ধের দাবী জানিয়ে নির্বাচন বন্ধ করার জন্য বললে হট্টগোল শুরু হয়। এরপর হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষের রুপ নেয়। এ সময় অ্যাড. এম শাহ আলমসহ তার কয়েকজন সমর্থক কমবেশী আহত হয়েছেনে বলে জানা গেছে। পরিস্থিত সামাল দিতে পুলিশ ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা হিমশিম খায়। পরিস্থতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেন।
অপর পক্ষের নির্বাচন কশিনার অ্যাড. শাহানাজ পারভীন মিলি জানান, গত ৬ মার্চ-২০২২ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় সভাপতি অ্যাড. আব্দুল মজিদ ও সাধারন সম্পাদক অ্যাড. আ.ক.ম রেজোয়ান উল্লাহ সবুজসহ তাদের প্যানেলের ১১ সদস্যকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়।
আজকের এই নির্বাচনের কোন বৈধতা না থাকায় সাধারন ভোটাররা এতে বাধা দেয়। পরবর্তীতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ভোট বন্ধ হয়ে যায়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবীর জানান, দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, জেলা আইনজীবি সমিতির দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।