জামাল উদ্দীন : সাতক্ষীরা
চারিদিকে লোনাপানির সাগর তবুও পানীয় জলের তিব্র সংকট।ভেঙ্গে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যাবস্থা।চরম স্বাস্থ ঝুকিতে ইউকূলীয় অঞ্চালের মানুষ |
মহা সাইক্লোন আম্ফানের ৯ দিনেও সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলার শ্যামনগর ও অশাশুনি উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মানুষ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লোনা পানির সাথে লড়াই করে বেঁচে আছে।একদিকে বসতভিটা ভাটায় জেঁগে উঠলেও জোয়ারে কোমরপানি।সেনাবাহিনীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাশ্রমে উপকূলীয় এলাকার মানুষ বাঁধ সংস্কার করলেও তা জোয়ারে ভেঙ্গে যাচ্ছে।এ জেন গোদের উপর বিষফোঁড়া। চারিদিকে লোনা পানিতে থৈ-থৈ করছে। যেন পানির সাগর।তবুও একটু খাবার পানির জন্য মাইলের পর মাইল নোকা চালিয়ে মহিলারা ছুটে চলেছে।অনুসন্ধানে জানা গেছে,উপকূলীয় এলাকার গাবুরা,পদ্মপুকুর,কাশিমাড়ী, বুড়িগোলীনি, প্রতাপনগর, খাজরা,শ্রীউলা,আশাশুনী সদর সহ ৮ টি ইউনিয়নের মানুষ আম্ফানের আগে ডাঙ্গায় বাঘ জলে কুমির এমন ভাবে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকলোও এখন ভয়াবহ লোনাপানির সাথে টিকে থাকার মাহাযুদ্ধে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।শ্যামনগরের অবস্থা একটু ভাল হলেও আশাশুনির অবস্থা খুব খারাপ।বসতবাড়ি, পুকুর,রাস্তাঘাটা সব লোনা পানিতে থৈ-থৈ করছে।বাঁধ সংস্কার করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখলেও তা জোয়ারে সব ভঙ্গ করে দিচ্ছে।২৩ টি পয়েন্টে কপোতাক্ষ, ঘোলপেটুয়া,মালঞ্চ সহ কয়েকটি নদী সমুদ্রের সাথে সরাসরি যুক্ত হয়ে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চালের মানুষের চোঁখের খুম কেড়ে নিয়েছে। ৫০ টি গ্রামের কয়েকলক্ষ মানুষ টেকসই বাঁধের জন্য হাহাকার করছে। পাউবো সাতক্ষীরা দ্বায়িত্বে থাকা কর্মাকর্তারাদের বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগে তুলেছেন ভুক্তভুগীরা।
এক কলস পানি নিতে লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা।এত পানির তোড়ে খাওয়ার যোগ্য পানি না থাকায় পেটের পিড়াসহ নানান রোগের প্রাদূর্ভব দেখা দিয়েছে উপদ্রুত এলাকায়।