খেলার সংলাপ :
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন বলা হয় সাকিব আল হাসানকে। দেশের ক্রিকেটে দলকে বড় বড় সাফল্য এনে দেয়ার পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও সাকিবের জুড়ি নেই। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলা ক্রিকেটার তিনি। শুধু তাই নয়, এই তালিকায় সাকিবের ধারেকাছেও নেই কেউ।
ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি খেলেছেন সাকিব। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই টুর্নামেন্টে সাকিব অংশ নিয়েছেন ৯ বার। এর মধ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়েই খেলেছেন ৭ বার। আর সেই সময়ের মদঝ্যে দলটিকে দুইবার শিরোপা জেতাতে রেখেছেন বড় ভূমিকা।
সাকিবের মতো অলরাউন্ডারকে দলে পেতে যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিরই থাকে বেশ আগ্রহ। কলকাতা নাইট রাইডার্সও তার বিপরীত নয়। তবে এবারের আসরে দলটির হয়ে মাঠ মাতানো হচ্ছে না তারকা অলরাউন্ডারের। বোর্ডের পক্ষ থেকে এনওসি না মেলায় শেষমেশ টুর্নামেন্ট থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সাকিব।
সাকিবের আইপিএল খেলতে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে গত এক মাস ধরেই সরব ক্রিকেটপাড়া। অনেকেই দিচ্ছেন বোর্ডের সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে মতামত। তবে সাকিব এখনও চুপ আছেন। জানাননি এই সম্পর্কে কিছুই। আর এদিকে কলকাতাও সাকিবের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে দলে টেনে ফেলেছে জেসন রয়কে।
সাকিবের আইপিএল খেলার রাস্তা যখন একেবারেই বন্ধ হয়ে গেল, তখন ভারতীয় গণমাধ্যমে এসেছে নতুন খবর। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, সাকিবকে খেলানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল কেকেআর। এজন্য তারা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে দুটি প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি বিসিবি।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচি থাকায় সাকিবসহ বাংলাদেশ থেকে ডাক পাওয়া লিটন দাসকে পুরো সময় পাবে না কেকেআর। এমনটা আগে থেকেই জানা ছিল। তবুও দুই ক্রিকেটারের ইচ্ছা ছিল আন্তর্জাতিক সূচির মাঝের বিরতিতে খেলবেন আইপিএলে। কিন্তু পুরো মৌসুমের জন্য সাকিব-লিটনকে না পাওয়ায় নতুন করে তাদের নাম প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেয় শাহরুখ খানের দল। সেই আহবানে সাকিব সাড়া দিলেও লিটন খেলতে চান আইপিএলে।
তবে সে দেশের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সাকিবকে পেতে বিসিবিকে দুটি প্রস্তাব দিয়েছিল কেকেআর। বাংলাদেশের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার চলমান টেস্ট এবং ইংল্যান্ডের মাটিতে আগামী মে মাসে আইরিশদের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজে ব্যস্ত থাকবে টাইগাররা। মূলত এসব সূচিকে ঘিরে কেকেআর বিসিবিকে বলেছিল, একমাত্র টেস্ট ম্যাচে লিটন দেশের হয়ে খেলুক। আর আইপিএলের শুরু থেকেই খেলুক সাকিব। এরপর টেস্ট শেষ হলে ফেরার সুযোগ রয়েছে লিটনেরও।
এছাড়া আরও একটি প্রস্তাব দিয়েছিল কেকেআর। তাদের ভাষ্য, আগামী মে মাসে আয়ারল্যান্ডে খেলতে যাবে বাংলাদেশ। সেই সময় সাকিব দলের সঙ্গে খেলতে যাক, তবে লিটন খেলুক কেকেআরের হয়ে। সিরিজ শেষ হয়ে গেলে সাকিব আবার চলে আসুক কলকাতায়। তাহলে দু’পক্ষের সমস্যা মিটে যাবে বলে আশা করেছিল কেকেআর। তবে সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে সাকিব-লিটন দু’জনকেই জাতীয় দলে রেখে দেয় বিসিবি।