আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস তথা সাইফার মামলায় জামিন পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান।
একই মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিও। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) তার জামিন মঞ্জুর করেছেন পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এই দুই শীর্ষ নেতাকে ১০ লাখ রুপি জামানত জমা দেয়ার শর্তে জামিন দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
শুক্রবার পিটিআই পিটিশনের শুনানির পর বিচারপতি সরদার তারিক মাসুদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন। তবে জামিন পেলেও এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না ইমরান খান।
এর আগে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানের সাজা স্থগিতের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন ইসলামাবাদ আদালত। এর ফলে আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় দেশটির জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তিনি।
পাকিস্তান-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) তোশাখানা মামলায় তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খানের সাজা স্থগিত করার আবেদন খারিজ করে দেন।
জানা গেছে, পাকিস্তানে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীরা শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হওয়ার আগের দিন ইমরান খানের আপিল খারিজ করে দেয়া হলো।
আপিল খারিজের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইমরানের আইনজীবী নাঈম হায়দার পাঞ্জুথা বৃহস্পতিবার এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া রায় স্থগিত করার আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়েছে। ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অযোগ্যই থাকবেন তিনি।’
এর আগে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ইমরান খানের আরেক আইনজীবী আলী জাফর জানিয়েছিলেন, কারাগালে বসেই লাহোর, মিয়ানওয়ালি ও ইসলামাবাদ আসনে লড়াই করবেন পিটিআই’র সাবেক চেয়ারম্যান।
গত ৫ আগস্ট ইসলামাবাদের একটি বিচারিক আদালত নির্বাচন কমিশনের দায়ের করা তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের রায় দেন। এর ফলে তিনি আগামী পাঁচ বছরের জন্য তিনি সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য হয়ে পড়েন।
পরে ওই মাসেই ইসলামাবাদ হাইকোর্ট সেই সাজা স্থগিত করেন। তবে এখন অন্যান্য মামলা থাকায় ইমরান কারাগারেই আছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এর মধ্যে গোপন তথ্য ফাঁসের মামলায়ও দণ্ড পেলে আর কখনোই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তিনি। ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ১৪০টির বেশি মামলা হয়েছে।