জাতীয় ডেস্ক :
কুমিল্লায় সহিংসতার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে আছে। শিগগিরই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাবের সব ব্যাটালিয়ন ও ক্যাম্প পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ‘র্যাবের প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন’ শীর্ষক কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ফেসবুক মাধ্যমে নানা পোস্টের সত্যতা যাচাই না করে উত্তেজনা বা খামাখা উস্কানিতে কেউ পথ ভুলবেন না। রংপুরের মতো কাণ্ড ঘটিয়ে বসবেন না।’
কুমিল্লার পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হামলাকারীদের আমরা খুব দ্রুত ধরে ফেলতে পারব। তারা স্থান পরিবর্তন করে এদিক সেদিক যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অনেক দেশে অনেক সময় অনেক কিছু ঘটে যায়। কিন্তু আমরা বলি, আমরা আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখব। আমরা যখন সে পথে অনেকটা এগিয়ে গেছি, তখন সেই সম্প্রীতি বিনষ্ট করার নানা তৎপরতা চলছে। ফেসবুকে অপপ্রচারের মাধ্যমে কোন স্বার্থান্বেষী মহল অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, তা আমরা দেখছি।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সহিংসতার বিষয়টি আলোচনায় এলে সরকারপ্রধান এ নির্দেশনা দেন বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান।
কুমিল্লা থেকে শুরুর পর গত পাঁচ দিনে সারা দেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় ৭১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আটক করা হয়েছে ৪৫০ জনকে।
গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে সহিংসতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপকেন্দ্রিক ‘অপ্রীতিকর ঘটনায়’ এ পর্যন্ত ৭১টি মামলা রুজু হয়েছে। আরও কিছু মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
এসব হামলা-ভাঙচুরে জড়িত সন্দেহে ৪৫০ জনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সব অপরাধীর গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানানো হয়।