হোম অন্যান্যসারাদেশ সরকারসহ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে কুরুচি পূর্ন পোষ্ট দেওয়া নিয়ে আশাশুনিতে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের মারামারি, দুটি ছাত্র সংগঠনের দুই সভাপতিসহ আহত ৮

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :

আশাশুনিতে সরকারসহ প্রধান মন্ত্রিকে নিয়ে ফেইস বুকে কুরুচি পূর্ন পোষ্ট দেওয়া নিয়ে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের মারামারিতে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ছাত্রদলের আহবায়কসহ উভয় পক্ষের ৮ নেতা কর্মীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জনতা ব্যাংক ও ফেন্ডস্ স্পোটিং ক্লাব সংলগ্ন আব্দুল হায়ের চায়ের দোকানের সামনে।

এ ব্যাপারে সরেজমিনে প্রত্যক্ষ দর্শিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ সরকার ও প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সেতু, মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সহ দলের নেতাদের নিয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ইয়াসিন আরাফাত পলাশ বহুদিন ধরে একের পর এক ফেসবুকে কুরুচি পূর্ন পোষ্ট দিয়ে যাচ্ছিল।

এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের নজরে আসলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসমাউল হুসাইনের নেতৃত্বে যুবলীগ নেতা তৈবার রহমান, শহীদুল ইসলাম, শামীম আনোয়ার উজ্জ্বল, জয়নাল, ছাত্রলীগ নেতা আলামিন হোসেন, শাহারুল, রাহাতুল, মিজান, শান্ত ইসলামসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা একত্রিত হয়ে বলে দীর্ঘ দিন ধরে সরকারকে নিয়ে এ ধরনের কুরুচি পূর্ন মন্তব্য করে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে যাচ্ছে। এধরনের মন্তব্য যাতে আর না করে সে বিষয়টি তাদেরকে নিষেধ করতে হবে বলে তারা কোথায় আছে চল সেখানে যাই। এরপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মীরা খবর পায় জনতা ব্যাংক সংলগ্ন আব্দুল হায়ের চায়ের দোকানের সামনে এসে দোকানের ভিতরে বসে থাকা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মশিউল হুদা তুহিন , বিএনপি নেতা মন্টু, কৃষক দলের সাবেক সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, বর্তমান আহবায়ক আমির হোসেন বাদশা, যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম ছোট, কৃষক দল নেতা মিজানুর রহমান মিনু, শাহীন উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ইয়াসিন আরাফাত পলাশসহ বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী চা পান করছিল ও গল্প করছিল। সেখানে তখন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হাজির হয়ে ছাত্রদলের আহবায়ক পলাশের কাছে জানতে চায় সরকারকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করেছিস কেন আর যেন করতে না শুনি এ নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায় দুই দলের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষের রূপ নেয়। তখন ভয়ে পথচারী সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজে আসা লোকজন ছুটাছুটি করতে থাকে। খবর পেয়ে আশাশুনি থানা পুলিশ দ্রæত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

দুই দলের মারামারিতে বিএনপির সদস্য সচিব মশিউল হুদা তুহিন, কৃষক দলের আহবায়ক আমির হোসেন বাদশাহ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসমাউল হুসাইন, ছাত্রলীগ নেতা মোঃ আল আমিন, মিজান, রাহাতুল, ছাত্রদলের আহবায়ক ইয়াসিন আরাফাত পলাশ, কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান মিনু, কৃষক দল নেতা শাহিন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ছাত্রদলের আহবায়ক পলাশকে সাতক্ষীরা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যরা আশাশুনি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।

এব্যাপারে বিএনপির সদস্য সচিব মশিউল হুদা তুহিনের সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, জনতা ব্যাংক মোড়ে আব্দুল হায়ের চায়ের দোকানে বসে আমি ও আমার দলের কয়েকজন নেতাকর্মী চা খাচ্ছিলাম। এমন সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত ভাবে কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাদেরকে মারপিট করে। কি কারনে কেন এমন ঘটনা তারা ঘটালো তা আমার জানা নেই।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসমাউল হুসাইন বলেন, ছাত্রদলের আহবায়ক পলাশ দীর্ঘদিন যাবৎ সরকার ও সরকারের প্রধান মন্ত্রী, সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সহ সিনিয়র মন্ত্রী এম,পি দের নিয়ে ফেসবুকে কুরুচীপূর্ন মন্তব্য করে স্ট্যাটাস দিয়ে আসছিল। এ বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কাছে জানতে চাইলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়ে উঠলে কাটাকাটির একপর্যায়ে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির সদস্য সচিব মশিউল হুদা তুহিন বলেছেন যে হটাৎ করে তাদের নেতাকর্মীদেরকে মারপিট করা হয়েছে এটি ঠিকনা। সরকারকে নিয়ে তারা কুরুচীপূর্ন মন্তব্য করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কথা জানতে চাইলে তারা আমাদের উপরে উত্তেজিত হওয়ায় দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটা কাটির একপর্যায়ে এ মারপিটের ঘটনা ঘটে। তবে বর্তমানে আশাশুনির পরিস্থিতি থমথমি অবস্থা বিরাজ করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন