হোম আন্তর্জাতিক সরকার গঠনের আলোচনায় মশগুল শলজ

জাতীয় ডেস্ক :

জার্মানিতে সবুজ দল ও এফডিপিকে নিয়ে সরকার গঠনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী ওলাফ শলজ। আর নির্বাচনে ত্রুটিপূর্ণ কৌশল এসপিডির কাছে হারের প্রধান কারণ বলছেন স্থানীয়সহ প্রবাসীরা।

জার্মানির ২০তম জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্যের পর সবুজদল ও ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টি এফডিপিকে সঙ্গে নিয়ে শিগগিরই একটি লাল-সবুজ-হলুদ এর জোট সরকার গঠনে আশাবাদী মধ্য বামপন্থি দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি – এসপিডি।

রাজধানী বার্লিনে দলটির ভবিষ্যৎ চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তার নেতৃত্বে শরিকদলগুলোকে নিয়ে একটি জোট সরকারের রূপরেখা প্রায় চড়ান্ত। আর এসপিডির এই জয়ে আগামীতে দেশটির সর্বক্ষেত্রেই টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আশাবাদী দলটির স্থানীয় ও প্রবাসী সমর্থকরা।

এদিকে বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন সিডিইউ থেকে এবারের নির্বাচনে না দাঁড়ানোসহ, পরাজিত আরমিন লাসেথের নেতৃত্বে দলের ভারসাম্যহীনতা ও নির্বাচনী প্রচারণায় দলের অপরিপক্ব নীতিকে দায়ী করছেন অনেকেই।

এদিকে জোট সরকার গঠনের লক্ষ্যে বেশি আসন পাওয়া দলগুলো ইতোমধ্যে সরকারের অংশীদার হতে দর কষাকষি শুরু করেছে। এরই মধ্যে সবুজদলের শীর্ষ নেতা রবার্ট হাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এফডিপির প্রধান ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে আগ্রহের বিষয়টি গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।

সমর্থকদের উদ্দেশ করে শলজ বলেন, সব জরিপেই আমরা এগিয়ে আছি। এটা আনন্দের ব্যাপার। আমরা দ্রুতই জার্মানির জন্য কর্মদক্ষ একটি সরকার গঠন করতে যাচ্ছি।

এর আগে ভোটগ্রহণ শেষ হয় বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়। জার্মানির পলিট ব্যারোমিটরের সর্বশেষ জরিপে এগিয়ে ছিলেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক দল এসপিডির চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী ওলাফ শলজ।

তবে জরিপে খুব বেশি পিছিয়ে ছিল না মার্কেলের দলও। তবে অপেক্ষাকৃত নতুন ভোটার ও প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে চ্যান্সেলর পদে দ্যুতি ছড়ালেন সবুজ দলের আনালেনা বেয়ারবক।

১৪ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে তিনি জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন বেশ ভালোভাবেই। জলবায়ু সংকটের বিষয়টি এ মুহূর্তে জার্মান নাগরিকদের কাছেও একটি আগ্রহের কারণ। নির্বাচনের আগে এক জনমত জরিপে একপর্যায়ে এগিয়েও ছিল গ্রিন পার্টি। সম্প্রতি এক টেলিভিশন বিতর্কে আনালেনা বেয়ারবক বলেন, জলবায়ু সংকট মোকাবিলার শেষ সুযোগ থাকবে জার্মানির আসন্ন সরকারের।

ভোটারদের একজন বলেন, কিন্তু আমাদের মনে হয় শুধু জার্মানি বা ইউরোপ নয় যে কোনো সংকটে বিশ্বকে পথ দেখাতে পারে এমন একজন চ্যান্সেলরের পাশাপাশি তেমনই একটি দলের ক্ষমতায় আসা উচিত।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন