বাণিজ্য ডেস্ক :
খোলাবাজারে ডলারের দাম দেশের ইতিহাসের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। চাহিদার বিপরীতে বাজারে ডলার না থাকায় দাম বর্তমানে ১১৮ থেকে ১১৯ টাকায় উঠে গেছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিলের মানি এক্সচেঞ্জে সরেজমিনে দেখা গেছে, মানি এক্সচেঞ্জগুলোয় নগদ ডলার নেই বললেই চলে। যার কারণে বেশিরভাগ মানি এক্সচেঞ্জই ডলার বিক্রি করার চেয়ে ডলার কিনতে বেশি আগ্রহী।
এ বিষয়ে নিয়ামুল হাসান নামে একজন ডলার বিক্রেতা বলেন, এখন বেশিরভাগ মানি এক্সচেঞ্জেই নগদ ডলারের সংকট। তাই ডলার বিক্রির চেয়ে ক্রয় বেশি হচ্ছে। এছাড়া এতদিন অনেকেই রাস্তায় ডলার কেনাবেচা করত। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনার নজরদারি বাড়ায় তারাও সরসরি ডলার কেনাবেচা করছেন না।
মানি এক্সচেঞ্জার কর্মীরা জানান, ডলার নেই। কেউ কিনতে চাইলে প্রতি ডলার ১১৯ টাকায় কিনতে হবে। তাও ১ ঘণ্টা লাগবে। কারণ কারও কাছ থেকে এনে দিতে হবে।
পল্টনের ডলার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেশি। কিন্তু সেই তুলনায় সরবরাহ নেই। তীব্র সংকট চলছে। সকালে প্রতি ডলার ১১৬ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন বিক্রি করার মতো কোনো ডলার নেই।
গেল ১৭ মে দেশের খোলাবাজারে ডলারের দাম প্রথমবারের মতো ১০০ এর ঘর পেরিয়ে যায়। তারপরে নিচে নেমে এলেও ১৭ জুলাই আবারও ১০০ টাকার ওপরে উঠে যায়।
এর আগে গেল সোমবার (৮ আগস্ট) খোলাবাজারে ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা।
গত ৩ মাসে ডলারের দাম বেড়েছে ১৯ বার। এ সময়ে টাকার মান কমেছে সাড়ে ৮ টাকা। এর আগে ২৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দর নির্ধারণ করে ৮৯ টাকা। কিন্তু এরপরেই ডলারের দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর থেকে দু-একদিন পরপরই বাড়ছে ডলারের দাম। সোমবার (৮ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৯৪ টাকা ৯৫ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করে। নিয়মানুযায়ী এটাই এখন ডলারের আনুষ্ঠানিক দর।
এর আগে ২৬ জুলাই খোলাবাজারে ডলারের দাম রেকর্ড ১১২ টাকায় পৌঁছেছিল।