অনলাইন ডেস্ক :
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সংস্কৃতি ও ধর্ম স্বতন্ত্র বিষয়, একটির সঙ্গে অন্যটির কোনো বিরোধ নেই। তিনি আজ শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মেলা ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রকৃতি থেকে সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করি, শিক্ষা নিই। অন্যদিকে, সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করে থাকি। একটির সঙ্গে অন্যটির কোনো দ্বন্দ্ব নেই।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে কিছু ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী পহেলা বৈশাখের বিরোধিতা করেছিল। পাকিস্তান সরকারের আমলে একবার পহেলা বৈশাখ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা আবারও পহেলা বৈশাখের পেছনে উঠেপড়ে লেগেছে।’
কে এম খালিদ বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের অন্যতম অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। এটি ইতোমধ্যে ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে, সেটিকে নিষিদ্ধের জন্য একজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
পহেলা বৈশাখে প্রতিহতের জন্য কিছু ধর্মান্ধ গোষ্ঠী নানাভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে বর্তমান সরকারের তৎপরতার কারণে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন পহেলা বৈশাখের দুটি প্রেক্ষাপট, অর্থাৎ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক তাৎপর্য তুলে ধরেন।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিসিকের চেয়ারম্যান মুহ. মাহবুবুর রহমান।