অনলাইন ডেস্ক :]
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় সংসদকে খাটো করতে বগুড়ায় উপনির্বাচনে হিরো আলমকে প্রার্থী করেছিল বিএনপি।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে শান্তি সমাবেশে তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের জন্য এতো মায়া ফখরুলের। হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। পার্লামেন্টকে খাটো করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছিল ফখরুলরা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির কাছে ক্ষমতা দেয়া মানে আলো থেকে অন্ধকারে যাওয়া। আমরা বিএনপির পাল্টাপাল্টি কোনো কর্মসূচি দিচ্ছি না। তাদের কর্মসূচি করছে নয়াপল্টন, আমরা করছি কামরাঙ্গীরচরে। পাল্টাপাল্টি হলে তো বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে করতাম।’
বিএনপিকে পাত্তা দেয়ার কিছু নাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কোনো পাল্টাপাল্টি নয়, কিন্তু আগামী নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিদিনই আমাদের কোনো না কোনো কর্মসূচি থাকবে।’
বিএনপির পদযাত্রা নিয়ে কাদের বলেন, তাদের পতনযাত্রা শুরু হয়েছে। বিএনপির ভুয়া দাবির সঙ্গে জনগণ নেই। তাদের কর্মসূচিতে নেতাকর্মীও কমে যাচ্ছে।
‘আন্দোলনের রঙিন খোয়াব দেখতে পারেন। কিন্তু এ স্বপ্ন কোনোদিনও পূর্ণ হবে না,’ বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি গণঅভ্যুত্থানের কথা বলে, অথচ গণআন্দোলনই করতে পারল না। গণঅভ্যুত্থান করবে কবে? কোন বছর? এখন বলবে আগামী নির্বাচনের পর।’
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা তো হবে, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী কোথায়? প্রতিপক্ষ তো নরম হয়ে গেছে। আন্দোলনের খেলায় তো পরাজিত হয়ে গেছে। এখন বাকি আছে নির্বাচন। নির্বাচনে ফাইনাল খেলা হবে। দুর্বল প্রতিপক্ষ চাই না, শক্তিশালী প্রতিপক্ষ চাই। নির্বাচন ফেয়ার হবে।
মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে কাদের বলেন, পাকিস্তান আমল ভালো ছিল, ফখরুল সাহেব বলেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানের এখন কী অবস্থা? বাংলাদেশের ৬ মাসের আমদানি সমান রিজার্ভ আছে, পাকিস্তানের ৩ সপ্তাহ আমদানি সমানও রিজার্ভ নেই। পাকিস্তান এখন আইএমএফ এর দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। সে পাকিস্তান আপনাদের ভালো লাগে। আপনারা যদি ক্ষমতায় যান, বাংলাদেশের অবস্থা পাকিস্তানের মতো হবে। আমরা সেটা হতে দেবো না।উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশকে তারেক, সন্ত্রাস, হাওয়া ভবন, অর্থপাচারের কাছে তুলে দেবেন? তাহলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন।
ওয়ান-ইলেভেনের প্রসঙ্গ স্মরণ করে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম দাঁড়িয়েছিলেন কোর্টে, দুঃসময়ে। তখন অনেককেই পাওয়া যায়নি। উনার জনপ্রিয়তা আছে। এমন লোককে নির্বাচিত করলে দুঃসময়ে অন্ধকারে আলো পাবেন।
দল করলে দলের শৃংখলা মানতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ অসন্তোষ হয়, এমন কাজ করলে দলের, সরকারের ক্ষতি হয়। যারা ভূমি দখল, মাদক ব্যবসা, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে সখ্যতা রাখে, তাদের আওয়ামী লীগ করার কোনো অধিকার নেই। খারাপ লোক এনে পার্টি করানোর দরকার নেই। ভালো লোক, ত্যাগীদের দিয়ে কমিটি করুন। বসন্তের কোকিলদের খারাপ সময়ে পাওয়া যাবে না।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তেলের দাম বৃদ্ধি, ইউক্রেন যুদ্ধ, পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার কারণে বেশি দামে পণ্য কিনে আমাদেরকে কম দামে সরবরাহ করতে হয়। এ অবস্থায় আপনারা কিছুটা কষ্টে আছেন। স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্ট করছেন। নেত্রী ভালো করেই জানেন। আমরা পরিস্থিতিকে অস্বীকার করছি না। শেখ হাসিনা দিনরাত কষ্ট করে যাচ্ছেন, যাতে আপনাদের এ কষ্ট কেটে যায়।
কামরাঙ্গীরচরে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।