নিউজ ডেস্ক:
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত আগে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই পদ্ধতিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দুই মাস আগে তফসিল হবে। তখন নির্বাচন কবে, মনোনয়ন পত্রসহ এ সংক্রান্ত সব তথ্য জানা যাবে।’
খুলনা নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শনিবার সকাল ১০টায় মতবিনিময় করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এর আগে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে এ সময় সিইসি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন করার চ্যালেঞ্জ তো বহুবিধ। নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে দেখা দিচ্ছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, মানুষের আস্থা। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে, নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করা। ভোট দিতে না পেরে মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তাই তাদের ভোটকেন্দ্রমুখী করা বড় চ্যালেঞ্জ।’
সামাজিকমাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে যথাসম্ভব সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে প্রযুক্তির অপব্যবহার। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্রিস্টাইলে যাচাই-বাছাই না করে ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এ আই পদ্ধতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে হুবহু নকল করা হচ্ছে একজনের বক্তব্য। এজন্য দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে। আধুনিক যুগে এটি অস্ত্রের চেয়েও ভয়াবহ। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় সমস্যা।’
সিইসি সব অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য মিডিয়াকর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা চেয়ে বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা ওয়াদাবদ্ধ। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। একটি নির্বাচনে বহুবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ভোটারদের ফিরিয়ে আনার জন্যই আমরা কাজ করছি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের, খুলনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজি বেনজির আহম্মেদসহ কর্মকর্তারা।