জাতীয় ডেস্ক :
কক্সবাজারে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার তিন আসামিকে বিদেশি পিস্তল ও দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শনিবার (২৬ মার্চ) ভোররাতে নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের পূর্ব নাপিতখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল ইসলাম সরকার এ তথ্য জানান।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের রমজান আলীর ছেলে মোহাম্মদ ফিরোজ ওরফে মোস্তাক (৪৭), ইসলামপুর ইউনিয়নের উত্তর নাপিতখালী এলাকার মৃত আব্দুল গণির ছেলে মোহাম্মদ শরীফ ওরফে শরীফ কোম্পানী ও পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী এলাকার লোদা মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম (৪৮)।
র্যাবের এই অধিনায়ক বলেন, গত ১৪ মার্চ কক্সবাজার শহরের আদালত এলাকা থেকে এক নারীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। পরে তাকে শহরের উত্তর বাহারছড়া এলাকায় একটি বাসায় আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পরদিন ১৫মার্চ ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন। মামলার পর থেকে আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব অভিযান শুরু করে।
‘শনিবার ভোররাতে র্যাব খবর পায়, দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার কয়েকজন আসামি ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের পূর্ব নাপিতখালী এলাকার তাদের গোপন আস্তানায় অবস্থান করছে। এতে র্যাবের একটি দল সন্দেহজনক বাড়িটি ঘিরে ফেললে উপস্থিতি টের পেয়ে ৩-৪ জন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে ধাওয়া দিয়ে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, পরে গ্রেফতার ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তিমতে, আস্তানাটির মাটি খুঁড়ে একটি বিদেশি পিস্তল ও দেশীয় তৈরি ৯টি বন্দুক পাওয়া যায়।
খাইরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার তিনজনই দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এদের মধ্যে এক নম্বর আসামি ফিরোজ ঘটনার পর গণমাধ্যমে ভুক্তভোগী নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেছিল। আর সেটা প্রমাণ করতে সে একটি ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে। পরে সে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষণের শিকার নারীকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়।
তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে ঈদগাঁও থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।