হোম খুলনাসাতক্ষীরা শ্যামনগরে প্রতিবেশী কর্তৃক ৪০ বছরের দখলীয় সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ চেষ্টার প্রতিবাদে গৃহবধূর সংবাদ সম্মেলন

শ্যামনগরে প্রতিবেশী কর্তৃক ৪০ বছরের দখলীয় সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ চেষ্টার প্রতিবাদে গৃহবধূর সংবাদ সম্মেলন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 29 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রতিবেশী কর্তৃক অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে একটি অসহায় পরিবারকে তার দখলীয় সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্যামনগরের মোঃ শাহিনুর ইসলাম শাহিন এর স্ত্রী গৃহবধূ স্বপ্না খাতুন এই অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার খালু শ্যামনগর উপজেলার পূর্ব ধানখালী গ্রামের মুনছুর মিস্ত্রী (৬০) প্রায় ২০ শতক জমির উপর ঘরবাড়ী তৈরি করে দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। কিন্তু প্রতিবেশী একই গ্রামের মৃত জোহর আলী মল্লিকের ছেলে আনারুল মল্লিক, মৃত সামছুর মিস্ত্রীর ছেলে মোসলেম মিস্ত্রী, মোসলেম মিস্ত্রীর ছেলে মোস্তফা মিস্ত্রী, আবুল মিস্ত্রীর ছেলে শহিদ মিস্ত্রী ও আলমগীর মিস্ত্রী সামান্য ইস্যুতে মুনছুর মিস্ত্রীর উপর অত্যাচার, নির্যাতন চালাতে থাকে। কোন কারণ ছাড়াই তারা হঠাৎ করেই জমি দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে। আনারুল গংরা হিংস্র পরসম্পদ লোভী, জমি দখলকারী ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক।

গৃহবধূ স্বপ্না খাতুন আরো বলেন, চলতি বছরের ২৪ তারা আমার খালুর বাড়িতে গলায় ছুরি ধরে আমার খালা মোছাঃ ফাতেমা বেগমকে হত্যার চেষ্টা করে। ফামেতার ডাক চিৎকারে এলাকার লোক চলে আসলে তারা দ্রুত চলে যায় এবং এই জায়গায় বাস করতে দিব না বলে হুমকি দিয়ে যায়। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে পুনরায় মারার জন্য তারা বাড়িতে চলে আসে। এঘনার পর গত সোমবার আনারুল গংরা বিচলী গাদা ও কাঠের ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তাদের ভয়ে এলাকার কোন মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বিগত আওয়ামী সরকারের পৃষ্টপোষকতায় তারা এমন কোন অন্যায় কাজ নাই যা করেনি। তখনও তাদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ দিশেহারা ছিল। বর্তমানে আওয়ামী সরকার নাই, তবুও তাদের অত্যাচার এবং লুটতরাজ ও জমিদখল, মানুষ হত্যা থেমে নেই। তারা ফের হামলা করতে পারে এই ভয়ে বর্তমানে আমার খালু ও খালা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তিনি বলেন, বিগত ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে তারা একবার এমন হামলা করেছিল। তখন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের শালিসে বৈঠকে বিষয়টি মিমাংসা না হওয়ায় কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। তখন কোর্টের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তীতে উভয় পক্ষ কোন মারামারি ও ফাসাদ করবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে রেহাই পায়। কিন্তু তারপরও তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি। যে কোন সামান্য কারণে তারা ঝগড়া ফাসাদ লাগিয়ে জমি থেকে মুনছুর মিস্ত্রীকে উচ্ছেদের চেষ্টাসহ নানান ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি সন্ত্রাসী আনারুল গংদের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় প্রশাসনসহ জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন