বাণিজ্য ডেস্ক:
শেষ হলো বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ) ২০২৩-এর তিন দিনব্যাপী আয়োজিত বুটক্যাম্প। গত ৯ জুন থেকে শুরু হওয়া এই বুটক্যাম্পটি বিগ ২০২৩-এর প্রাইমারি স্ক্রিনিং এবং অনলাইন পিচিং থেকে নির্বাচিত উদ্যোক্তাদের নিয়ে শুরু হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (আইডিয়া) আয়োজিত বিগ ২০২৩-এর বুটক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠানটি রোববার (১১ জুন) অনুষ্ঠিত হয়। যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে আয়োজিত এই সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন।
বুটক্যাম্পে ১০৩টি স্টার্টআপ অংশ নেয়। ফিজিবিলিটি, বিজনেস স্ট্র্যাটেজি, স্টার্টআপ কনসেপ্ট, টেকনোলজি ও টিম ম্যানেজমেন্টসহ ১০টি সেশনে বুটক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তারা মেন্টরিং গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার। সভাপতিত্ব করেন আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মো. আলতাফ হোসেন। বিগ ২০২৩-এর মুখ্য সমন্বয়ক ও আইডিয়া প্রকল্পের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক সিদ্ধার্থ গোস্বামীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিয়া প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ও উপসচিব ড. মিজানুর রহমান।
এছাড়া, যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোছা. খালেদা খাতুন রেখা এবং বেটার স্টোরিজ লিমিটেডের চিফ স্টোরি টেলার মিনহাজ আনোয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, সরকারের কাজ হলো সুযোগ ও সুবিধা তৈরি করে দেয়া। স্টার্টআপ বা উদ্যোক্তাদের উচিত সেই সুবিধাগুলো গ্রহণ করে নিজেদের সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বুটক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন এবং এর গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো স্মার্ট সিটিজেন বা জনগণ। দক্ষ ও স্মার্ট মানবসম্পদ হিসেবে আমাদের জনসাধারণকে জনশক্তিতে পরিণত করে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেয়া সম্ভব।
অনুষ্ঠানের সভাপতি আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মো. আলতাফ হোসেন জানান, বুটক্যাম্পের এই ১০৩টি স্টার্টআপের মধ্য থেকেই নির্বাচন করা হবে সেরা ৫১ স্টার্টআপ। বিগ ২০২৩-এর পুরস্কারে সেরা একটি স্টার্টআপকে গ্র্যান্ট হিসেবে ১ কোটি টাকা অনুদান দেয়া করা হবে। বাকি নির্বাচিত তালিকার সেরা ৫০ স্টার্টআপের প্রত্যেককে দেয়া হবে ১০ লাখ টাকা করে অনুদান।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোছা. খালেদা খাতুন রেখা উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করে বলেন, উদ্যোক্তা বা স্টার্টআপদের আছে অবাধ স্বাধীনতা, আপনারাই ইনোভেটর বা উদ্ভাবক। আপনারা চাইলেই মেধা ও ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সর্বত্র বিচরণ করার মাধ্যমে দেশকে সমৃদ্ধ করতে পারেন।
স্বাগত বক্তব্যে আইডিয়া প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ও উপসচিব ড. মিজানুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট একটি অনুদানই নয়, এটি একটি বিনিয়োগ যার মাধ্যমে দেশের লাভ হবে। বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন উদ্যোক্তারাই।
বিগ বুটক্যাম্প শেষে অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের হাতে সনদ তুলে দেয় আইডিয়া কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, বুটক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তারা অংশ নেবেন বিগ ২০২৩-এর চূড়ান্ত রাউন্ডে। চূড়ান্ত পর্ব থেকে অভিজ্ঞ বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত সিলেকশন প্যানেলের মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে বিগ ২০২৩-এর চূড়ান্ত ফল।