অনলাইন ডেস্ক :
কোচ হিসেবে টমাস টুখেলের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে খুব কমই। কিন্তু গোল করানো শেখানোয় টুখেলের দক্ষতা কতটুকু? এ জন্য মাঠে ব্যবহারিকজ্ঞানের বিকল্প নেই। প্রশ্ন ঠিক এখানেই। টুখেল খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন ডিফেন্ডার। সর্বসাকল্যে গোলসংখ্যা মাত্র ৩টি। এখন তিনি গোল করার শেখাবেন কী!
ভ্রুকুটি জাগছে? না, টুখেল যেহেতু কোচ তাই এসব বিদ্যা তিনি শেখাতেই পারেন। কিন্তু শিষ্য যদি হয় নেইমার তাহলে যে কেউ প্রশ্ন তুলতেই পারেন। বর্তমান বিশ্বে অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ডকে গোল করা শেখাবেন টুখেল—যতই কোচ হন রসিকতার জায়গা তো থাকেই। পিএসজি কোচ নিজেই সে রসিকতাটুকু করতে ছাড়লেন না।
চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলোয় বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দুই লেগেই গোল করেছেন নেইমার। কোয়ার্টার ফাইনালে আতালান্তার বিপক্ষে পিএসজির ২-১ গোলের জয়ে দুর্দান্ত খেলেছেন পিএসজির এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। মূলত পিএসজির খেলাটা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে তাঁর পায়েই। আক্ষেপ শুধু গোলটাই পাননি। সেমিফাইনালে লাইপজিগের বিপক্ষেও সেই একই চিত্র। খেললেন দুর্দান্ত, প্রথমার্ধেই লাইপজিগের গোলপোস্ট কাঁপিয়েছেন দুবার, ফ্রি কিক থেকেও চেষ্টা ছিল গোল করার। তবু লক্ষ্যভেদ হলো না!
নিজে গোল না পেলে কী হবে, ফ্রিকিক থেকে গোল বানিয়ে দিয়েছেন সতীর্থ মার্কিনিওসকে। অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার গোলের উৎসও ছিল তাঁর জাদুকরি ‘ফ্লিক’। মোটকথা, গোল করা ছাড়া বাকি সব রকম চেষ্টাই ছিল নেইমারের। শুধু ফরোয়ার্ড হিসেবে আসল কাজটাই করতে পারেননি। স্কোরকার্ডে তুলতে পারেননি নিজের নাম। কাল রাতে পিএসজি ফাইনালে ওঠার পর সংবাদ সম্মেলনে তাই নেইমারকে নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতেই হতো টুখেলকে।
সংবাদকর্মীদের প্রশ্ন ছিল অনেকটাই এমন, নেইমারকে গোল করার বিদ্যাটা একটু শেখানো যায় না? পিএসজি কোচ যেন জবাবটা তৈরি করেই রেখেছিলেন, ‘গোল করা নিয়ে আমি নেইমারকে কী শেখাব যখন ক্যারিয়ারে আমার গোলসংখ্যাই মাত্র ২টি (৩টি)।’ পিএসজি তারকা কি তাহলে সব গোল ফাইনালের জন্য জমিয়ে রাখছেন? টুখেল জবাবটা সরাসরি দেননি। মাঠে খেলার এ কৌশল নির্মাতা মাইক্রোফোনের সামনেও কৌশল করেই বললেন, ‘সে অনুশীলনে গোল করে। তবে মাঠে কিন্তু দুর্দান্ত খেলছে। জয়ের খিদেটা আছে এবং বিশ্বের সেরা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। ফাইনালে সে গোল করলে আমি খুশিই হব।’
সে তো বটেই। নেইমার গোলের ধারায় থাকলে যে পিএসজির নতুন ইতিহাস লেখার কাজটা সহজ হয়ে যায়!