খুলনা অফিস :
দুর্নীতি উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় উল্লেখ করেখুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান বাবু বলেছেন, দুর্নীতি আর উন্নয়ন কখনো এক সঙ্গে চলতে পারে না। দুর্নীতি উন্নয়নকে বাঁধগ্রস্থ করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়তে শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে এমপি বাবু বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়, আর বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসলে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়।
সরকার প্রধান শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করে সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছেন। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে বর্তমান সরকার প্রমাণ করেছেন আওয়ামী লীগে দুর্নীতিবাজদের কোন স্থান নাই। সাংসদ বাবু আরো বলেন, জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাচিত এলাকার সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতি মুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলাম। এখনও পর্যন্ত কোথাও কাউকে দুর্নীতি করার সুযোগ দেয়নি।
একটা সময় ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোটা অংকের টাকা ছাড়া চাকুরি হতো না। টাকা ছাড়া কেউ টিআর কাবিখা প্রকল্প বরাদ্দ পেতো না। এমপি হওয়ার পর পুরোনো এ সিস্টেম বদলে দিয়েছি। আমার কাছে দুর্নীতিবাজদের কোন স্থান নেই। এখন এলাকার কোন প্রকল্প কিংবা সরকারি সুবিধা পেতে টাকার প্রয়োজন হয় না। চাকুরিতে তদবির কিংবা মোটা অংকের টাকা লাগে না। প্রকৃত মেধাবীরাই মূল্যায়িত হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। সকলের সহযোগিতায় এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ। তিনি বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে পাইকগাছা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও পরে পাইকগাছা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মান কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সমিরণ সাধ্,ু পাইকগাছা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার সরকার, সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খালেকুজ্জামান, খুলনা শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নাফিজ আক্তার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আকরাম হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তৃপ্তি রঞ্জন সেন, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক এম মোসলেম উদ্দীন আহম্মেদ, দপ্তর সম্পাদক স্নেহেন্দু বিকাশ, সাবেক সাধারন সম্পাদক এস এম আলাউদ্দীন সোহাগ।