হোম অন্যান্য শাহবাগে প্রাথমিকের নিয়োগপ্রত্যাশীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান

শাহবাগে প্রাথমিকের নিয়োগপ্রত্যাশীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 12 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
নিয়োগ পুনর্বহালের দাবিতে অষ্টম দিনের মতো আন্দোলন করছেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তরা। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগে সড়কে অবস্থান নেন তারা। এতে সায়েন্সল্যাব হয়ে মৎস্যভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে উঠিয়ে দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এছাড়া জলকামান ব্যবহার করা হয়।

ঘটনাস্থল থেকে বাংলা ট্রিবিউনের ফটোসাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন জানান, শহবাগের সড়ক মোড়ে বসে পড়লে পুলিশ প্রথমে নিয়োগপ্রত্যাশীদের উঠে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। পরে জলকামান ব্যবহার করে তাদের তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। তারপরও সেখানে তারা অবস্থান করলে পুলিশ তাদের আটকের চেষ্টা করে। অনেকে বিষ নিয়ে আসে দাবি আদায় করতে। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের পরনে কাফন, হাতে জাতীয় পতাকা দেখা যায়। একাধিক আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সরেজমিন দুপুর দেড়টার পর দেখা গেছে, প্রায় শতাধিক শিক্ষক দ্রুত নিয়োগের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। একই সময় পাশে অবস্থান করতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। সড়ক বসে পড়লে পুলিশ প্রথমে জলকামান ব্যবহার করে তাদের তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তারপরও আন্দোলনকারীদের সেখানে অবস্থান করতে দেখা গেছে। আজকের মধ্যে দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন আন্দোলনরতরা। আজ আন্দোলনকারীদের পরনে কাফন, হাতে জাতীয় পতাকা রয়েছে। অনেক নিয়োগপ্রত্যাশী নারীর কোলে শিশুও আছে।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২৩ সালে তিনটি ধাপে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম এবং অপেক্ষমান তালিকা থেকেও নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।

তৃতীয় ধাপের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রকাশিত হয়। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ২৯ মার্চ। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় ২১ এপ্রিল। মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয় ২০২৪ সালের ১২ জুন।

এরপর আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ৩১ অক্টোবর তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে। এতে ছয় হাজার ৫৩১ জন চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। এই অবস্থার মধ্যে নিয়োগ সুপারিশ না পাওয়া ৩১ জন হাইকোর্টে রিট করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত হয়ে যায়।

সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের জানানো হয়, সুপারিশ পাওয়া ৬ হাজার ৫৩১ জনের একজনও বাদ যাবে না। আইনি জটিলতা শেষ করে দ্রুত তাদের যোগদান করানো হবে। কিন্তু চেম্বার জজ আদালত, আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্টে সাতটি শুনানির পর চূড়ান্ত রায়ে ৬ ফেব্রুয়ারি ফল বাতিলের ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার পর ওইদিন থেকেই নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া ৬ হাজার ৫৩১ জনের পক্ষে নিয়োগ ও যোগদানের আন্দোলন শুরু হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন