রাজনীতি ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে দেশবিরোধী লবিস্ট নিয়োগের খরচ বিএনপি গত ১০ বছরের বার্ষিক লেনদেনে দেখায়নি। এ অবস্থায় দলটি অর্থ পাচার করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
আগামীকাল নির্বাচন কমিশনের সভার আলোচ্যসূচিতে বিষয়টি রাখা হয়েছে। এদিকে, বিএনপি আবারও অস্বীকার করে বলেছে, তারা লবিস্ট নিয়োগ করেনি। এ অবস্থায় খরচের হিসাবের বিষয়টি আয়-ব্যয়ে আসার প্রশ্নই আসে না।
সরকার বলছে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মে পর্যন্ত লবিস্টের পেছনে কোটি কোটি টাকা ঢেলেছে বিএনপি। এ টাকা অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানো হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনে দেওয়া দলটির আয়-ব্যয়ের হিসাবে দেখানো হয়নি। এরই মধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশন এবং আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের খরচ বিএনপি বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাবে দেখিয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার কমিশনের সভার আলোচ্যসূচিতে বিষয়টি রাখা হয়েছে।
এদিকে ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, লবিস্টের পেছনে টাকা ব্যয়ের কোনো খাত উল্লেখ করেনি বিএনপি। এই ১০ বছরের অনুদান, ফরম বিক্রি, সদস্য ফি বাবদ যা আয় করেছে দলটি, তা খরচ করা হয়েছে কর্মচারীদের বেতন, নির্বাচনী ব্যয়, জাতীয় সম্মেলন বাবদ।
দুদক আইনজীবী বলছেন, লবিস্টের আড়ালে অর্থ পাচার হয়েছে কি না, সে বিষয়ে সমন্বিত তদন্ত হওয়া দরকার।
দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে বিদেশে অর্থায়ন–নতুন এটা সন্ত্রাসবাদের মতো ঝুঁকি, সন্ত্রাসের অর্থায়ন একটা ঝুঁকি–এই জিনিসগুলো এখনই খুঁজে বের করার সময় এসেছে। সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
এদিকে, বিএনপি বলছে, যেখানে কোনো লবিস্ট নিয়োগই হয়নি, সেখানে আয়-ব্যয়ের হিসাবে থাকার প্রশ্নই ওঠে না।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, লবিস্ট নিয়োগ করা কোনো অপরাধ নয়, বিএনপি কখনোই দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজে লিপ্ত ছিল না। আয়-ব্যয়ের হিসাব আপনারা (সাংবাদিক) দেখে নিন। কী আছে আর না-আছে, সেটা ট্রেজারার ও সেক্রেটারি জেনারেল জানেন।
সরকারের দাবি–বিএনপি লবিস্ট বাবদ এ পর্যন্ত ৩১ কোটি ২৮ লাখ টাকা খরচ করেছে, যা দলটির ১৮ বছরের মোট ব্যয়ের সমান।