শিক্ষা ডেস্ক:
একই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের দ্বারা র্যাগিং ও মারধরের শিকার হয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথমবর্ষের এক শিক্ষার্থী।
সোমবার (১০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের সামনে র্যাগিং এবং কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার সামনে একই শিক্ষার্থীদের দ্বারা মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থী মো. সাজিদুর রহমান।
ভুক্তভাগী সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আমি এক বান্ধবীর সঙ্গে প্রকৌশল অনুষদের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। কিছুক্ষণ পরে ১৬তম আবর্তন ও দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহীন এবং বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ওবায়দুল আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর নিজেরা সিনিয়র সেজে আমাকে র্যাগ দেয়। এসময় তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখায়। শেষে তারা বলে আমরাও ১৬ আবর্তনের এবং তুই আমাদের সপ্তম শিকার।
সাজিদ বলেন, কিছুক্ষণ পর আমি মসজিদের ওখান দিয়ে ক্যাফেটেরিয়ার সামনে আসি। এ সময় আমার পিছুপিছু এসে শাহিন ও ওবায়দুল রাস্তা আটকায়। ইতোমধ্যে সেখানে উপস্থিত হয় দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইপেল ও জিসান।
তখন ইপেল আমাকে বলে, মেয়ে নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরাঘুরি করস কোন সাহসে? এইখানে কি করস? এ কথা বলে ইপেল আমাকে মারধর শুরু করে। তখন শাহীন ও ওবায়দুলও আমাকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুসি মারতে থাকে।
অভিযুক্ত মেহেদী হাসান শাহিন ও ওবায়দুল্লাহ লোকপ্রশাসন বিভাগের এবং মোহাম্মদ ইপেল বাংলা বিভাগের ১৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওবায়দুল্লাহ জানান, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কী না জানার জন্যই তার পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। তাকে দিয়ে কোনো কিছু করানো হয়নি। মুখে কিছু বললে তা কিভাবে র্যাগিং হয়?
মারামারির বিষয়ে তিনি বলেন, ক্যাফেটেরিয়ার সামনে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে সে বাজে ব্যবহার করে। এ সময় কাটাকাটির এক পর্যায়ে কলার ধরা থেকে হাতাহাতি হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী সময় সংবাদকে মোবাইলে বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আগামীকাল (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের একটি মিটিংয়ে আমরা উভয় পক্ষকে ডেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব।