হোম জাতীয় রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 29 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান না হলে তা শিগগিরই আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকিতে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় এ বক্তব্য দেন তিনি।

নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতিসংঘে ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ওপর দারিদ্র্য, উন্নয়নঘাটতি ও সংঘাতের প্রভাব’ শীর্ষক এই বৈঠকে তিনি রোহিঙ্গা সংকটের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গত আট বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ মানবিক কারণে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। তবে দীর্ঘসূত্রতার কারণে এই সংকট কেবল মানবিক ইস্যু নয়, এটি এখন অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং নিরাপত্তা ইস্যু হিসেবেও জটিল হয়ে উঠছে।’

তিনি বলেন, মিয়ানমারে ভয়াবহ নিপীড়নের শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত এই জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য অবিলম্বে কার্যকর আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন।

তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের ইতিহাসে তরুণদের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক জুলাই গণআন্দোলন পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের পেছনে তরুণদের বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। তবে তরুণরা যদি শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে তারা চরমপন্থা ও সহিংসতার দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘দারিদ্র্য, বৈষম্য ও উন্নয়ন ঘাটতি দীর্ঘমেয়াদে টিকলে তা সহিংসতা ও অস্থিরতার জন্ম দিতে পারে। তাই শান্তি ও উন্নয়নকে একসূত্রে বাঁধা জরুরি।’

এ সময় তিনি নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের তিনটি ‘শূন্য নীতি’—শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ—এর কথা উল্লেখ করে বলেন, “এই লক্ষ্য অর্জনে একত্রে কাজ করতে হবে, তবেই একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গঠন সম্ভব।”

বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের শান্তি ও উন্নয়ন প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন।

জাতিসংঘের এ আলোচনায় বাংলাদেশের পাশাপাশি সুইডেন, উরুগুয়ে, পূর্ব তিমুর ও জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন এবং মতামত তুলে ধরেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন