বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রোজার মাসে মানুষকে একটু রেহাই দেন। সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা। তারা আন্দোলন করবে! তার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে! আসলে একটা কথা তাদের বলতে চাই, খালেদা জিয়ার আমলে শ্রমিকরা আন্দোলন করেছিল মজুরি বৃদ্ধির জন্য রমজান মাসে। তাদের কষ্ট ছিল, তারা খাবার কিনে খেতে পারে না। সেজন্য তারা আন্দোলন করেছিল। সেই আন্দোলন করার কারণে খালেদা জিয়া শ্রমিকদের গুলি করে হত্যা করেছিল।’
আজ সোমবার (২৭ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা রমজান মাসে মানুষকে গুলি করে হত্যা করতে পারে, যারা রমজানের মধ্যে মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে, তারা রমজানের সম্মানে রাখবে কোথা থেকে?’
বিএনপির রমজান বলতে কিছু নাই উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘এজন্যই তারা রমজানে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। আমরা ওয়াদা করেছিলাম বাংলাদেশের প্রতি ঘর আলোকিত করব। আজকে আমরা বিদ্যুৎ দিয়েছি। এখানেও প্রশ্ন উঠেছে। দুর্নীতি খোঁজে। দুর্নীতি করে কী এত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়? ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া যায়? দুর্নীতি তো খালেদা জিয়া সরকার করেছিল। আর করেছিল বলেই ওয়ার্ল্ড ব্যাংক টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।’
বিএনপি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যাদের মধ্যে সামান্য মনুষত্ব আছে তারা কীভাবে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে? আপনার বলেন। আমাদের অগণিত মানুষকে তারা অত্যাচার করেছে। আমরা তো তাদের মিছিল-মিটিং করতে দিচ্ছি। আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঠে নামতে দেয়নি। এখন তারা গণতন্ত্রের কথা বলে। তাদের ওপর নাকি অত্যাচার করা হয়। ওরা আমাদের সঙ্গে যা করেছে, তার যদি এক ভাগও আমরা করি, তাহলে ওদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা তো প্রতিশোধ নিতে যাই নাই। ওরা যে অন্যায় করেছে, আমরা করিনি। আমরা মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
কথা বলতে দেওয়া হয় না বিএনপি যে দাবি করেছে তা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, সব কথা বলেও তারা বলে কথা বলতে দেয় না!
বিএনপি দেশের ভেতরে ও বাইরে নালিশ করে বেড়াচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, শুধু দেশের ভেতরেই না, দেশের বাইরে গিয়েও তারা নালিশ করে। এটাই তাদের চরিত্র। তারা মনে করে বিদেশিরা তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। বাংলার মানুষ এখন অনেক সজাগ, অনেক সচেতন।