জাতীয় ডেস্ক:
গত ৫ জুলাই বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে অনুষ্ঠিত রেলওয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা।
রেলে এই নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে— এমন তথ্য সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদনে তা ওঠে আসে। এরপর গতকাল সোমবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এবার এই প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসির সামনে জড়ো হতে থাকেন পরীক্ষায় অংশ নেয়া চাকরিপ্রত্যাশীরা।
এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেছেন, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তদন্ত চলছে, ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন মিলবে। তাতে যাদের সংশ্লিষ্টতা মিলবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকি নিজের সংশ্লিষ্টা থাকলে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
পিএসসির চেয়ারম্যানের দাবি, যে প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়, সেখানে ফাঁস করার সুযোগ খুব কম। তারপরও তদন্ত চলছে। প্রতিবেদন মিললে নেয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।
অন্য যেসব পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো প্রমাণিত হলেও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান মো. সোহরাব হোসাইন।
পিএসসির চেয়ারম্যানের এমন সিদ্ধান্ত জানার পর আন্দোলনকারীরা তদন্ত প্রতিবেদনের পর তাদের পরবর্তী কর্মসূচিতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।