জাতীয় ডেস্ক :
নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার ট্রেনে কাটা পড়ে আনুমানিক ১৪ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক কিশোর হকারের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে স্টেশনটির ১ নং প্ল্যাটফর্মের মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই কিশোর হকারের বিস্তারিত নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি । স্টেশনের অন্যান্য হকারদের ভাষ্যমতে, তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে।
রেলওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার ট্রেনটি দুপুর ২টার দিকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। যাত্রাবিরতি শেষে ট্রেনটি আবার চলতে শুরু করার সময় স্টেশনটির প্ল্যাটফর্মের মাঝামাঝি স্থানের একটি কামড়া থেকে ওই কিশোর হকার নেমে পড়ে। এ সময় তার মাথায় থাকা পানির বোতল ভর্তি ক্যারেট থেকে একটি পানির বোতল ওই কামড়ার দরজায় পড়ে যায়। সেটি কুঁড়িয়ে নিতে হাত বাড়ালে ওই কিশোর হকার ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মধ্যবর্তী ফাঁকে পড়ে যায়। এতে তার ডান পা ট্রেনটির চাকার নিচে কাটা পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে দ্রুত নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তৌহিদুল আলম বলেন , ট্রেনে কাটা পড়ে একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ওই কিশোরকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর লাশ এই হাসপাতালেরই মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার হাসানুর রহমান বলেন , ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার ট্রেনটি দুপুর ২টা ১৬ মিনিটে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায় ওই কিশোর হকারের একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ওই অবস্থায় উপস্থিত লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। পরে শুনেছি, সে মারা গেছে।
নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ ( এস আই) ইমায়েদুল জাহেদী জানান, প্রথমে একটা পা বিচ্ছিন্ন হয় এবং পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে আছে ।