বাণিজ্য ডেস্ক :
নতুন বছরের প্রথম দিন প্রবাসী কর্মীদের সুখবর দিল সরকার। চলতি জানুয়ারি থেকে রেমিট্যান্সে প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থাৎ বিদেশে থাকা কোনো বাংলাদেশি কেউ ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে দুই টাকা ৫০ পয়সা যোগ হয়ে ১০২ টাকা ৫০ পয়সা পাবে তার স্বজনরা।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের শীর্ষ খাতের একটি হলো এক কোটির বেশি প্রবাসীর পাঠানো অর্থ। মন্ত্রণালয় বলছে, রেমিট্যান্সে সরকারি প্রণোদনার পরিমাণ বাড়ানো প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ‘নববর্ষের উপহার’।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতেই নতুন বছরের প্রথম দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অর্থ মন্ত্রণালয় মনে করে, এ সিদ্ধান্তে আরও কমে আসবে অবৈধ পথে টাকা পাঠানোর প্রবণতা। কমবে মানিলন্ডারিং, বাড়বে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভও।
সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পুরোপুরি বন্ধ না হলেও, উল্লেখযোগ্য হারে কমবে অবৈধ পথে টাকা পাঠানোর পরিমাণ। ২ শতাংশ নগদ প্রনোদনা চালুর পর থেকেই প্রতি অর্থবছরে গড়ে ২৫ শতাংশ করে বেড়েছে দেশে আসা রেমিট্যান্সের অর্থ।
সম্প্রতি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বা বৈদেশিক আয়ে দেওয়া প্রণোদনার হার বাড়িয়ে তিন শতাংশ করার সুপারিশ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। গত বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শুরু হওয়া ‘দ্বিতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন-২০২১’ এ সুপারিশ করেন তিনি।
আতিউর রহমান বলেন, করোনাকালে দুর্দশাগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা তিন খাতের অন্যতম হলো রেমিট্যান্স। যে কারণে রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বাড়ানো প্রয়োজন।
২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা চালু করে সরকার।