বাণিজ্য ডেস্ক:
একুশে ফেব্রুয়ারির ছুটিতে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। মেতেছেন বিশাল বালিয়াড়ি ও নোনাজলে। তবে অনেকেই হোটেলে রুম না পেয়ে লাগেজ বা ব্যাগ নিয়ে অবস্থান করছে বালিয়াড়ির কিটকটে। অনেক ভ্রমণপিপাসু বলছেন, রুম না পেয়ে কক্সবাজার ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তারা। আর সাগর উত্তাল হওয়ায় পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে সতর্ক অবস্থানে লাইফগার্ড কর্মীরা।
একুশে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি আর বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) একদিনের ছুটি নিলে সাপ্তাহিক ছুটিসহ দাঁড়ায় টানা ৪ দিনের ছুটি। এ ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকের ঢল নেমেছে সৈকত শহর কক্সবাজারে। বালিয়াড়িতে ভিড় করেছে লাখো পর্যটক। বালিয়াড়ির সামনে নীল জলরাশিতেও মানুষের ভিড়। সবাই মেতেছেন বাঁধভাঙ্গা আনন্দ-উল্লাসে।
গাজীপুর থেকে আসা পর্যটক এনামুল হক বলেন, ‘এত মানুষ কক্সবাজার সৈকতে আর দেখিনি। বালিয়াড়িতে যেমন মানুষ, ঠিক তেমনি নোনাজলেও মানুষে ভরপুর।’
আরেক পর্যটক শায়ান রহমান বলেন, ‘খুব মজা হচ্ছে। এত মানুষ একসঙ্গে আনন্দ করছি।’
সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘সাগরের নোনাজলে যেমন মজা পাচ্ছি, ঠিক তেমনি বালিয়াড়িতে বালু নিয়ে খেলা করতে ভালো লাগছে।’
ছুটি মানেই কক্সবাজারে বাড়তি মানুষের চাপ। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ৫ শতাধিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট এখন পর্যটকে ঠাঁসা। অনেকেই রুম না পেয়ে লাগেজ বা ব্যাগ নিয়ে অবস্থান করছে সৈকতের বালিয়াড়িতে। তারা বলছেন, রুম না পেয়ে কক্সবাজার ছাড়তে হচ্ছে তাদের।
রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক ইমতিয়াজ বলেন, ‘সকালে কক্সবাজার পৌঁছানোর পর অনেক হোটেলে গিয়েছি, কিন্তু কোথাও রুম পায়নি। শেষমেশ সৈকতের বালিয়াড়িতে লাগেজ ও ব্যাগ নিয়ে বসে আছি। যদি কোনো রুম পাই তাহলে আজকে থেকে যাব। না হয় রাতের গাড়ি রাজশাহীতে ফিরে যাব।’
সাগর কিছুটা উত্তাল। বেড়েছে ঢেউয়ের পরিধি। তাই সমুদ্রস্নানে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সচেনতার পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে লাইফ গার্ড কর্মীরা।
সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার ইনচার্জ মোহাম্মদ ওসমান বলেন, প্রচুর মানুষ। তাদের বেশির ভাগই সাগরে গোসল করছে। তাই সমুদ্রস্নানে নিরাপত্তায় কয়েক স্তরের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত টানা ছুটিতে কক্সবাজারে ৫ লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম হবে বলে জানিয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।