আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
রাশিয়ার পর ইউক্রেন সফর করছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। ইউক্রেন সংঘাত থামানোর লক্ষ্যে গত ২৬ এপ্রিল মস্কো সফরে যান গুতেরেস। সফরকালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এক দিনের সফর শেষে বুধবারই (২৭ এপ্রিল) ইউক্রেনের উদ্দেশে রওনা হন। মস্কো থেকে পোল্যান্ডগামী ট্রেনে চড়ে কিয়েভে পৌঁছান তিনি।
ইউক্রেন সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের বৈঠক করার কথা রয়েছে। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানী কিয়েভের কাছে বুচা শহর পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস। এখানে একটি গির্জার কাছে একটি ‘গণকবর’ ঘুরে দেখেন তিনি।
ইউক্রেনের দাবি, বুচা শহরে একাধিক গণকবর পাওয়া গেছে। এসব গণকবর থেকে বেশ কিছু মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য রুশ বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছে কিয়েভ। এদিন বুচার কথিত সেই ‘গণকবর’ পরিদর্শন শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘এখানে একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত প্রয়োজন। জবাবদিহিতার জন্য এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের তা উপলব্ধি করতে হবে।’
গুতেরেস আরও বলেন, ‘আমি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) সম্পূর্ণ সমর্থন করি এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের কাছে আবেদন জানাই যে, তারা সহযোগিতা করতে আইসিসির প্রস্তাব গ্রহণ করবে। কিন্তু যখন আমরা যুদ্ধাপরাধের কথা বলি, তখন আমরা ভুলে যেতে পারি না যে, সবচেয়ে খারাপ অপরাধ হলো যুদ্ধ নিজেই।’
রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বুচা ছাড়ার আগে সেখানে গণহত্যা চালিয়েছে। অবশ্য রাশিয়া এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে। প্রথমে কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমে বোরোদিয়াঙ্কা শহরতলি পরিদর্শন করেন গুতেরেস। গত মার্চে শহরটি কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘিরে রেখেছিল রুশ বাহিনী।
রাশিয়া সফরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন গুতেরেস। শান্তি আলোচনার পাশাপাশি মারিউপোলে আটকে থাকা বেসামরিক লোকজনকে উদ্ধার নিয়েও কথা বলেন তিনি। বিষয়টি নিয়েই এদিন জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে তার। কীভাবে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনা যায়, সেটি নিয়েও আলোচনা করবেন তিনি।