হোম আন্তর্জাতিক রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে ভারতকে আবারও ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে ভারতকে আবারও ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 66 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার জ্বালানি তেল আমদানি পুরো বন্ধ না হলে ভারতের ওপর শুল্কের বোঝা বহাল থাকবে বলে আবারও হুঁশিয়ার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার (১৯ অক্টোবর) প্রেসিডেনশিয়াল উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

তিনি বলেছেন, আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলেছি। রাশিয়ার সঙ্গে তেল সংক্রান্ত ইস্যুতে তিনি আর জড়িত থাকবেন না বলে আশ্বস্ত করেছেন।

এর আগেও এক বক্তব্যে ট্রাম্প দাবি করেন, রুশ তেল আমদানি বন্ধে রাজি হয়েছে দিল্লি। তবে দিল্লির কাছে এমন কোনও আলোচনার তথ্য নেই বলে পালটা দাবি করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেছেন, যদি এটাই তাদের বক্তব্য হয়, তাহলে তারা ব্যাপক শুল্ক দিতে থাকবে। তবে সেটা তো তারা চায় না।

ভোক্তা তথ্য সংস্থা কেপলারের হিসাব অনুযায়ী, রুশ রিফাইনারিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার পর তেল রফতানির হার বৃদ্ধি করেছে মস্কো। তাই রুশ তেলের ভারতীয় আমদানি চলতি মাসে প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে দৈনিক ১৯ লাখ ব্যারেলে পৌঁছাতে পারে।

ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু হলে মস্কোর ওপর জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে পশ্চিমা বহু দেশ রাশিয়ার তেল কেনায় রাশ টেনে ধরে। তখন বিশেষ মূল্যছাড়ের সুবিধায় এই তেলের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক হয়ে ওঠে ভারত।

মার্কিন-ভারত সাম্প্রতিক সম্পর্কে রাশিয়ার তেল গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তেল আমদানি কেন্দ্র করে ভারতীয় পণ্যের ওপর ট্রাম্প প্রশাসন ব্যাপক শুল্ক জারি করলে সংখ্যাটা মোট ৫০ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। ওয়াশিংটনের দাবি, তেল বিক্রির অর্থে ইউক্রেনে যুদ্ধ জিইয়ে রাখতে পারছে ক্রেমলিন। তাই, রুশ তেল আমদানিতে জড়িত সবাই পরোক্ষভাবে যুদ্ধের জন্য দায়ী।

তবে ভারতের একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, ওয়াশিংটন-দিল্লির মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বাণিজ্য আলোচনা চলছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে ভারতের প্রতিনিধি দল দেশে ফিরে এসেছে। তবে তিনি এর বেশি কিছু জানাননি।

বুধবার ট্রাম্প দাবি করেন, মোদির সঙ্গে তার ফোনালাপ হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, ভারত শিগগিরই রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করবে। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সেই দিনের কোনও ফোনালাপের তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে ভারতীয় ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ সরকারের প্রধান লক্ষ্য বলে উল্লেখ করে তারা।

ওয়াশিংটনের একজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ভারত ইতোমধ্যেই রাশিয়ার তেলের কেনা অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রভাব দেখা যাবে না বলে জানিয়েছেন ভারতের এক কর্মকর্তা। নভেম্বরের জন্য ইতোমধ্যে অর্ডার দেওয়া হয়ে গেছে, তাই দৃশ্যমান কোনও প্রভাব ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে টের পাওয়া যেতে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন