সংকল্প ডেস্ক :
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ বলেন, রামপাল পাওয়ার প্লান্ট বহুমুখী সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। তারই অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে এ অঞ্চলের মানুষের জন্য বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প, হুইল চেয়ার বিতরণ, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, স্কুল-কলেজে পানির ফিল্টার বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ, সেলাই প্রশিক্ষণ ও মেশিন বিতরণ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ত্রাণ ও শীতবস্ত্র বিতরণসহ নানা সামাজিক কর্মকান্ড করছে।
তিনি আজ (শুক্রবার) বিকালে বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লি. (বিআইএফপিসিএল) আয়োজিত মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। রামপাল পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্প এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সচিব বলেন, রামপাল পাওয়ার প্লান্ট উৎপাদনে যাওয়ার আগেই সামজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের উন্নয়ন ঘটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বহুমুখী উন্নয়নমূলক কাজ করছে যা এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতে প্লান্টের সামাজিক কর্মকান্ড আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে সেবা সপ্তাহ ঘোষণা করে বিদ্যুৎ বিভাগ দেশের প্রতিটি অঞ্চলে শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় রামপাল পাওয়ার প্লান্টের বিশাল কর্মযজ্ঞ এগিয়ে চলছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বিআইএফপিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিশেষ জৈন বলেন, বৈশি^ক মহামারীর মাঝেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকরা সীমিত আকারে কাজ করছেন এটি সত্য। তবে বর্তমানে প্রকল্প পুরোদমে কাজ চলছে। যার ফলে এই প্রকল্পে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা অনুযায়ী আমরা দেশের প্রতিটি অঞ্চল আলোকিত করার লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছি। ২০২২ সালের প্রথম দিকেই রামপাল পাওয়ার প্লান্ট উৎপাদনে যেতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রামপাল পাওয়ার প্লান্টের প্রকল্প পরিচালক এসসি পান্ডে, বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্মসচিব এটিএম মোস্তফা কামাল, উপসচিব মোহাম্মদ নাজমুল আবেদীন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (পিএন্ডডি) মুস্তাক মুহাম্মদ, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, ওজোপাডিকো লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শফিক উদ্দিন, উপপ্রকল্প পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম, রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস , কোম্পানির এজিএম (টিএস) দিলীপ সিংহ, এজিএম (এইচ আর) সিদ্ধার্থ মন্ডল, ব্যবস্থাপক (এইই আর) তরিকুল ইসলাম, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাংশুসহ স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।