বাগেরহাট অফিস :
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে প্রতিপক্ষ ও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাযোগে সুন্দরবনে মাছ আহরণে নিয়োজিত থাকা ৯ জেলের নামে হয়রানি মূলক মামলা দায়ের পূর্বক জেল হাজতে প্রেরণের অভিযোগ উঠেছে। বৈধ অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশকৃত জেলেদের কাছ থেকে প্রতিগোনে জাল ফেলার জন্য ২ হাজার ৫‘শ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন পূর্ব সুন্দরবন বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভায়রণ্য কেন্দ্রের ওসি আবুল কালাম । এছাড়াও নানা ভাবে জেলেদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন শরণখোলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়াম্যান মোঃ হাসানুজ্জামান পারভেজ।এসময় শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার তোফাজ্জেল হোসেন ব্যাপারী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা জামাল জমাদ্দার, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও কারাগারে প্রেরিত জেলে পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন গনমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে জেলেদের ওপর হামলার অভিযোগে যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। তা সঠিক নয় ।আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা স্থানীয় সফিকুল ইসলাম ডালিম, এমাদুল শরীফ, খলিল মৃধা, জাহাঙ্গির হোসেন হিরু, রহিম হাওলাদার ও শাহ আলমকে ব্যবহার করে এসব মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে। এছাড়াও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে বৈধ পাস পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করা আমার ৯ জেলেকে মামলা দায়ের পূর্বক আদালতে সোপর্দ করেছে। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অন্যায়। আমি এসবের বিচার চাই।